শিবচরের মসজিদের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে মসজিদ কমিটির সভাপতি লতিফ মুন্সির বিরুদ্ধে মুসল্লিদের মানব বন্ধন।

প্রকাশিত: ৬:১৬ অপরাহ্ণ, মে ২, ২০২৫

 

শিবচর মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মো: রিয়াজ রহমান

মাদারীপুরের শিবচরের চাঁন্দেরচর হাট জামে মসজিদের দুই কোটি টাকা আত্নাসাতের অভিযোগে উমেদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শিবচর উপজেলা আওয়ামিলীগের সিনিয়র সহসভাপতি মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল লতিফ মুন্সি র বিচার দাবিতে মুসল্লীর দের মানব বন্ধন।
শুক্রবার বাদ জুমা মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের চান্দের চর বাজার জামেমসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। ঘটনার সূত্রে জানা যায় যে, মসজিদের পাকা ভবন প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ বছর লতিফ মুন্সি সভাপতি এবং মজিদ মৃধা সেক্রেটারী হিসেবে আছেন। লতিফ মুন্সির বিরুদ্ধে মসজিদের ভবন নির্মাণের কাজ নিয়েই অনিয়মের অভিযোগ শুরু হয় কারন দোতলা বিল্ডিংয়ের কাজের তিনি ঠিকাদার ছিলেন। সেই সময় মাদারীপুর জেলা পরিষদ থেকে এই কাজের জন্যে ৮২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়, এই টাকায় মসজিদের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলেন লতিফ মুন্সি, তৎকালীন সংসদ সদস্য লিটন চৌধুরী মসজিদের নীচের ২২ দোকান বিক্রি করে বাকী টাকা সংগ্রহ করতে ঠিকাদার লতিফ মুন্সিকে বলেন এবং এমপির নির্দেশে ৫ থেকে ৯ লাখ টাকায় ১৬টি দোকান বিক্রি করার অভিযোগ করেন,মুসল্লীরদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, আজ থেকে ১২/১৩ বছর আগে এই মানের একটি স্থাপনা তৈরি করতে ৬০লাখ টাকার বেশী প্রয়োজন হবার কথা নয়। কিন্তু মসজিদের সভাপতি লতিফ মুন্সি প্রায় ২কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন মসজিদ তৈরি করতে কিন্তু গত এক যুগ হতে আজ অবধি এই টাকার হিসাব কাউকে দেয়নি। ৫ই আগস্টের আগে কেউ হিসাব চাইতে গেলে এমপির কাছের লোক বলে সবাইকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং আওয়ামী লীগের পতনের পরে কেউ হিসাব চাইতে গেলে নানা টালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করেন। এছাড়াও চাঁন্দেরচর হাট থেকে প্রতি বছর ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা মসজিদ কমিটির কাছে অনুদান দেওয়া হয়। ১২ বছরের সেই অনুদানের টাকার মসজীদ ফান্ডে না দিয়ে নিজের পকেটস্থ করেন বলে জানায়। এছাড়া লতিফ মুন্সি দোকান বিক্রির কোনো চুক্তিনামা কাউকে দেয়নি বলে কয়েকজন দোকান মালিকের অভিযোগ রয়েছে। তারা যেকোনো মূহুর্তে দোকান থেকে উচ্ছেদ হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন। লতিফ মুন্সি এবং তার আপন ভাই চারটি দোকান দখল করে আছেন বছরের পর বছর ধরে। মসজিদের আয় ব্যয়ের হিসেবের বিষয়ে কমিটির সেক্রেটারী মজিদ মৃধার কাছে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করতে গেলে তিনি বলেন, আমার কাছে কোনো হিসেব নেই। সব খরচ লতিফ মুন্সি করেছেন এবং সব হিসেব তার কাছে। অথচ লতিফ মুন্সি কাছে গেলে মজিদ মৃধা ফোনে লতিফ মুন্সির কাছে অন্য কথা বলেন যাতে বোঝা যায় যে, তারা দুজনেই এই অনিয়মের সাথে জড়িত। এ বিষয়ে উমেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামান মুন্সি বলেন, লতিফ মুন্সি আজ পর্যন্ত কোনো প্রকার হিসাব কাউকে বুঝিয়ে দেয়নি। তার অনিয়মের শেষ নেই। তিনি বছরের পর বছর হাটের ইজারা নিয়ে একচ্ছত্র ব্যবসা করছেন এমপির ক্ষমতা দেখিয়ে। এমনকি সরকারি শিক্ষকতা করা তার স্ত্রী রেহানা পারভীনের নামেও হাটের ইজারা এনেছেন যা সরকারি চাকরির নিয়ম বহির্ভুত।
উক্ত মসজিদের মুসুল্লি ও এলাকাবাসীরা বলেন, আমরা আমাদের মসজিদের সমস্ত খরচের হিসাব চাই। কেনো দূর্নীতিবাজকে আমরা মসজিদের প্রধান হিসেবে দেখতে চাইনা। এ বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধানের জন্যে তারা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট বিচারের দাবি জানায়।