ডিফেন্স এক্স সোলজার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ডেসওয়াস বিভাগীয় সভাপতি পর্যায়ে সন্মেলন ২০২৫

প্রকাশিত: ৫:০৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫

 

প্রতিনিধিঃখোরশেদ আলম

২৩ শে ফেব্রুয়ারী ঢাকা সেনানিবাস সংলগ্ন ইসিবি চত্বর একটি হল রুমে, বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সেনা,নৌ ও বিমান বাহিনীর সৈনিকদের নিয়ে জেলা ও বিভাগের সভা ও সাঃসম্পাদক পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ কে নিয়ে একটি সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অনাঃক্যাপ্টেনঃঅবঃমিজানুর রহমান চেয়ারম্যান ডেসওয়াস। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনঃ
লেঃজেনারেলঃ(অবঃ)ড,চৌধুরী হাসান সারওয়াদী বিরবিক্রম,এনবিস,বিএসপি,ওএসপি,এনডিসি,পিএসসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, মেজর অবঃমোঃশফিকুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃআবুল হাসেম প্রধান উপদেষ্টা ডেসওয়াস,মোঃমোসলেম উদ্দীন ভুঁইয়া উপদেষ্টা, সিঃওয়াঃওফিঃমোঃআবুল হোসেন উপদেষ্টা, মাষ্টার ওয়াঃঅফিঃআঃহালিম সহসভাপতি ডেসওয়াস,সঞ্চালনা করেন,অত্র সংগঠনের সাঃসম্পাদক সার্জেন্ট(বিমান বাহিনী )উপস্থিত অথিতি গন বক্তব্যে বলেন,
আমরা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে, আমরা স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছি, আমারা অধিকার আদায়ের জন্য ও দেশকে আবার সম্ভাবনাময় পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করার জন্য মহাস্বৈরচার সরকার হইতে মুক্ত করার জন্য রক্ত দিয়েছি। এইসব সবই করেছি বৈষম্য হইতে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিন্তু আমরা বৈষম্য হইতে মুক্তি পাই নাই। আমি দেখেছি আওয়ামীলীগ শাসন আমি দেখেছি বিএনপির শাসন আমি দেখেছি জনাব মরহুম প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদের জাতীয় পাটির শাসন। আমার উনাকে ( এরশাদ)এবং উনার শাসন আমল ভালো লেগেছে তাই যোগদান করেছিলাম উনার হাত ধরেই ক্যান্টনমেন্ট থানার সহসভাপতি হিসাবে বর্তমানে সৈনিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বিএনপির আমলে জেলে বন্ধী ছিল আওয়ামীলীগ আমলে তারা বাধ্য করেছে সাথে থাকার জন্য জনগণের পক্ষে কথা বলতে গেলে সিএমএইচ এ ভর্তি করিয়ে রাখতো, শেষ পর্যন্ত তিনি আওয়ামীলীগের অত্যাচারে মারা গেল। মারা গেল না মারা হয়েছে? তা এখনো পর্দার অন্তরালে। তারপর জিএম কাদেরের কথা বার্তা ও ব্যবহার ভালো লাগায় সেখানে থেকে গেলাম কিন্তু বেগম রওশন এরশাদের অপরিনামদর্শি রাজনীতির কারনে দলটি কয়েকভাগে বিভক্ত হয়েছে তাও আওয়ামীলীগের কুবুদ্ধির কারনে ওরা (আওয়ামীলীগ) সফল হয়েছে কিন্তু জাতীয় পার্টি এবং অঙ্গগঠন দলগুলোর বিষম্যের স্বীকার হয়েছে। কোনদিন নিজের স্বাধীনমত কথা বলতে পারে নাই। বিচার বিভাগ,শাসন বিভাগও সরকারের ইচ্ছামত বিচার করেছে। বর্তমান সরকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে ০৫ আগষ্ট ২০২৪, মহাস্বৈরচার হইতে দেশকে নতুনভাবে স্বাধীন করেছে কিন্তু আমরা কি বৈষম্যমুক্ত হতে পেরেছি। আমি বলবো না পারি নাই কারন জাতীয় পার্টিকে আওয়ামীলীগের দোষর মনে করে রাজনীতি ও কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জাতীয় পার্টিকে মত প্রকাশ করতে বা বলতে দেওয়া হয় না । বিচার ও শাসন বিভাগ তাদের স্বাধীনতা পায় নাই তাই সেখানে গেলেও লাভ হবে না । এখন বৈষম্য ছাত্রের বেনারে কোটি কোটি টাকার সরকারের সম্পত্তি মানুষের ঘর বাড়ী ভেঙ্গে দিচ্ছে। এইগুলি না ভেঙ্গে বা দখল না করে নিয়মকানুন মেনে সরকারের সম্পত্তি করে নিলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্মী হতো। যারা রাজনীতি করে নাই তাদের হাতে দেশ চলছে বিধায় সঠিকভাবে সাধারণ মানুষ সফল হতে পারছে না। ফলস্রুতিতে একটি দল ক্ষমতায় না যেয়েও দেশে চাঁদাবাজি ও দখলবাজি শুরু করেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে গেলে আবার রক্ত জরিয়ে দেশকে বৈষম্য মুক্ত করতে হবে। তবে এই আন্দোলন আর কতকাল চলবে? যারাই আসবে তারাই খাবে এর পরিবর্তন কবে হবে? আসুন আগে আমরা সিদ্ধান্ত নেই কাদেরকে ক্ষমতায় বসালে এসব নৈরাজ্য বন্ধ হবে। দেশের আইন ও শাসন বিভাগ তাদের নীতির মাধ্যমে বিচার করতে পারবে, ফেরত পাবে সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার। সভাপতি বলেন আমরা সৈনিক দেশ ও জাতীয় সম্পদ,আমরা কোন দল বা ধর্মের না, আমরা দলমত নির্বিশেষে দেশের জন্য কাজ করবো।বাংলাদেশের সকল সেনা সদস্য এক যোগে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।