রাজারহাটে কিশোরী নির্যাতনের অপরাধে মায়া বেগম নামের এক মহিলা গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫

 

ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ৬ঘন্টা গাছের সঙ্গে বেঁধে অপাশবিক নির্যাতন করার অপরাধে সকালে মায়া বেগম নামের এক মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
গত মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত নাখেন্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত ওই কিশোরী ঘড়িয়ালডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী, মোঃ মোস্তাক মিয়ার মেয়ে। ওই কিশোরীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওইদিন বিকাল তিনটার দিকে তাকে উদ্ধার করে রাজারহাট থানা পুলিশ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিত ওই কিশোরীর ছোট বোন কিছুদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছে।
চিকিৎসার খরচের জন্য ওই কিশোরীর বাবা জোর করে তার মায়ের একটি গরু গোয়াল ঘর থেকে নিয়ে বাড়িতে বেঁধে রাখে।

পরে ওই কিশোরীর দুর্সম্পর্কের দাদা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ তোলেন এবং চৌকিদার পাঠিয়ে হুমকি দেন। বাবাকে দেয়া অপবাদের প্রতিবাদ করলে আব্দুল কাদেরের উঠানেই নবম শ্রেণির ওইকিশোরীকে গাছের সঙ্গে ৬ঘন্টা বেঁধে রেখে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে অপাশবিক নির্যাতন করা হয় বলে নির্যাতিত কিশোরী অভিযোগ করেন।
খবর পেয়ে ওইদিন বিকালে রাজারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ মন্ডল বলেন, কিশোরীর বোনের চিকিৎসার জন্য ওই কিশোরীর বাবা জোর করে তার মায়ের একটি গরু নিয়ে বাড়িতে বেঁধে রাখে। পরে ওই গরু নিয়ে আসতে গেলে কিশোরী তার দাদিকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে গুরত্বর আহত করে। পরে আহত দাদিকে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে হাপতালে নিয়ে যায়। এলাকার অন্য নারীরা তাকে বেঁধে রাখেন।
এ ঘটনায় নির্যাতিত কিশোরীর বাবা রাজারহাট থানায় রাতে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত মায়া বেগমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

রাজারহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ তছলিম উদ্দিন জানান।
গ্রেফতারকৃত মায়া বেগমকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।