ইন্দুরকানিতে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দখল করে গাছের ব্যবসা জন ভোগান্তী চরমে! দৈনিক লাল সবুজের দেশ দৈনিক লাল সবুজের দেশ প্রকাশিত: ৯:০৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫ এইচ এম বাশার ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: পিরোজপুর-পাড়েরহাট-ইন্দুরকানী-কলারণ সন্ন্যাসী আঞ্চলিক মহাসড়কের বিশাল অংশজুড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে গাছ ও গাছের গুঁড়ির ব্যবসায়। ব্যবসার খাতিরে সড়কের পাশেই অসংখ্য গাছ কেটে ফেলে রাখায় অপরিসীম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন, চালক, স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। এতে প্রায় সময় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যাত্রীসহ সাধারন জনগণ। ইতিমধ্যে ঘটে যাওয়া কয়েকটি দূর্ঘটনায় প্রাণও এঝরেছে সড়কে । ইন্দুকানী কলারণ সন্নাসী ফেরি ঘাট থেকে পিরোজপুর প্রায় ৩০কিঃমিঃ দূরত্ব। উপজেলা থেকে ঢাকা খুলনা বরিশাল সহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। সড়কটিতে বিভিন্ন বৈধ অবৈধ যানবাহন চলাচল করে এবং শত শত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ চলাচল করে থাকেন। তাছাড়া সড়কটির চওড়া কম থাকায় যান চলাচলের বিঘ্নতা ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটিতে উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ফকিরহাট ইস্টিল ব্রিজ সংলগন রাস্তার উপরে ও পাড়েরহাট বাসষ্টান্ড, পাড়েরহাট ফারির মোর, উমিদপুর, ইন্দুরকানী কলেজ মোড়, ঘোষেরহাট বাজার, ভবানিপুর, বালিপাড়া, ঝোড়া কবর চন্ডিপুর, সড়ক সহ বিভিন্ন সড়কের অর্ধেকের ও বেশি জায়গা দখল করে যত্রতত্র অবৈধ ভাবে পার্কিং করে রেখেছে বড় বড় ট্রাক, পরিবহন বাস ও ছোট বড় কাভার্ড ভ্যান। চলছে স্থায়ীভাবে গাছ ও গাছের গুঁড়ির রমরমা ব্যবসায়। এছাড়া বড় বড় গাছের গুঁড়িও পরিমাপ করা হয় সড়কের ওপরেই। ট্রাকে গাছ ও গাছের গুঁড়ি তোলার সময় যানবাহন ও মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দূর্ঘটনার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে চলতে হয় শিশু শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের। ব্যস্ততময় এই সড়কের স্থানীয় ও দূরপাল্লার গাড়ি চালকদের। এভাবে সড়ক দখল করে স্থায়ীভাবে কাঠের ব্যবসায় চলায় এবং বড় বড় ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান রেখে দেয় পার্কিংকরে।এসব দেখার যেুন কেহই নেই। ট্রাক কাভার্ড ভ্যানসহ অবৈধ নসিমনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নিয়ে চলে গাছ গাছের গুঁড়ি ও ডাব কলা লোড-আনলোডের কাজ। এ কারণে এই সড়কে দিন দিন বেড়েই চলেছে দুর্ঘটনা, এমনকি সড়কে ঝরছে মানুষের প্রাণ তারপরও দেখার নাই কেউ। মহাসড়ক দখল করে ব্যবসার কারণ জানতে চাইলে জালানী কাঠ ব্যবসায়ী মোঃ ইমরান জানান, আমরা সব ম্যানেজ করেই গাছের ব্যাবসা করছি। তাছাড়া অন্য কোথাও রেখে গাড়ি লোড-আনলোড করবো সেই ব্যবস্থাও নেই। তাই বাধ্য হয়ে সড়কের পাশে ট্রাক লোড আনলোড করতে হচ্ছে। পিরোজপুর নির্বাহী প্রকৌশলী, সওজ ও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, মহাসড়কে কোন ধরনের ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান রেখে পন্য লোড-আনলোড করার সুযোগ নেই। কিন্তু পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কের উপরে কিছু ব্যবসায়ী অবৈধ ভাবে গাড়িতে পন্য লোড-আনলোড করেন এই বিষয় বিভিন্ন সময়ে অনেকবার আলোচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানা ইনর্চাজ মারুফ হোনেসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন।আমাদের কিছু করার নেই এটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করতে পারেন।আমরা কাউকে অনুমোতি দেইনাই আর ম্যানেজের প্রশ্নত আসেই না। স্থানীয় সচেতন মহলের অভিমত উপজেলার সড়কের পাশে একটি নির্দিষ্ট যায়গায় ট্রাকস্টান্ড করে দিলে সকলের জন্য ভাল হয়। SHARES সারা বাংলা বিষয়: