১৪ বছরের কিশোরী হাফিজার ধর্ষক ও হত্যাকারী দের ফাঁসির দাবিতে মানব বন্ধন দৈনিক লাল সবুজের দেশ দৈনিক লাল সবুজের দেশ প্রকাশিত: ৯:৫৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২৫ শিবচর(মাদারীপুর)প্রতিনিধি মোঃ রিয়াজ রহমান মাদারীপুর জেলার শিবচর থানায় বাচামারা বাবলাতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী কিশোরী হাফিজাকে পেয়ার হোসেন(২২) নামের যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুদিন পরে হাফিজা অন্ত্বসত্বা হলে তার মায়ের কাছে পেয়ার হোসেনের কথা বলে এবং হাফিজার মা পেয়ার হোসেনের মা পিঞ্জিরা বেগম কে জানায়। পিঞ্জিরা বেগম হাফিজাকে বউ করে ঘরে তুলবে এই আস্বাস দিয়ে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে এবং পরে বিয়ে দিতে অস্বিকৃতি জানায়। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় পেয়ার হোসেন সুযোগ পেলেই হাফিজার ঘরে ঢুকে পড়তো, একদিন হাফিজার ভাই তাকে ধরে ফেলে এবং বিচার সালিসি ডাকে। বিচারকগন তারিখের পর তারিখ পরিবর্তন করতে থাকে এবং বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এলাকার লোকজনের জোরাজোরির ফলে বিচার বসলে প্রাধান বিচারকের ভূমিকায় ছিলেন মোতাহার মেম্বার, তাজেল মাদবর, সূর্য শেখ, সিকান মোল্লা, মিরাজুল মোল্লা। সালিসিতে বিচারকেরা পক্ষপাতিত্ব করে বলে উপস্থিত লোকজন জানান। পেয়ার হোসেনের বাবার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা নেয়ার বিনিময়ে অন্যায় ভাবে সব দোষ হাফিজার উপর চাপিয়ে দেয় এবং বাজে ভাষায় গালিগালাজ করে লাঞ্চিত করে, মোতাহার মেম্বার এইখানে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। হাফিজাকে মানুষিক ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে তাজেল মাদবর ও সূর্য শেখ। নতুন করে নাটক সাজায় পেয়ার হোসেনের ছোট ভাই আলী হোসেনকে (১৭) দিয়ে। আলী হোসেন বলেন তার সাথে হাফিজার সম্পর্ক রয়েছে কিন্তু হাফিজা অস্বীকার করে। পেয়ার হোসেনের সাথে বিয়ে দিবেনা বলেই এই নাটক সাজায় বলে উপস্থিত লোকজন জানান, বিচারকেরা চাচ্ছিল মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হাফিজাকে লাঞ্চিত করতে পেয়ার হোসেন কে নির্দোষ প্রমাণ করতে। অপমান, অপবাদ আর লাঞ্চিত হয়ে হাফিজা গলায় দড়ি দিয়ে আত্নহত্যা করে। হাফিজার মৃত্যুর ১৮ দিন পার হয়ে গেলেও আসামিদের কাউকেই পুলিশ ধরতে পারেনি। কিছু আসামি জামিন নিয়ে বাড়িতে এসে হাফিজার ভাই বাদি নাসির কে হুমকি ধামকি দেয় বলে জানায়। সাক্ষী দেয়ায় একজনের ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয় রাতে, তাই বাকিরা আতংকিত ভাবে দিন পার করছে। আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের জোর দাবি জানায় এলাকার সর্বস্তরের জনগণ ও শিক্ষার্থীরা। SHARES সারা বাংলা বিষয়: