আনোয়ার হোসেন বিশ্বনাথ( সিলেট) প্রতিনিধি:

বিশ্বনাথের চাঞ্চল্যকর ঘটনা, বৈরাগী বাজারের ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান লিলু হত্যার মাস্টারমাইন্ড আক্কুল মিয়া উরপে আকুল-কে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে নওধার গ্রামে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ( পিবিআই)। অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থলের অদূরে একটি পুকুর থেকে হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত রামদা উদ্ধার করা হয়েছে এসময়।
বৃহঃস্পতিবার ( ২৬ জুন) দুপুরে লিলু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী একাধিক ডাকাতী ও হত্যা মামলার আসামী আকুল কে নিয়ে সিলেটের পিবিআই পুলিশ সুপার খালেদুজ্জামান এর নেতৃত্বে হত্যায় ব্যবরূত অস্ত্র উদ্ধারে আসে পুলিশের একটি দল। এসময় লিলু হত্যায় ব্যবরূত অস্ত্র, আসামী আক্কুল মিয়া উরপে আকুল এর দেখানো মতে পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। অস্ত্রটি দ্বিতীয় ধাপে উদ্ধার করা হয়। এর আগে উক্ত মামলায় আটক ওপর আসামী সুনামগঞ্জের মাহবুবুর রহমান কে নিয়ে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে আরেকটি রাম-দা উদ্ধারে সক্ষম হয়।
গত বৃহঃস্পতিবারের অভিযানে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি আজ শনিবার (২৮ জুন) নিশ্চিত করেছেন উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর এসআই কামরুল ইসলাম মোল্লা। তিনি জানান, আসামীদের স্বীকারোক্তিতে সকাল ১০ ঘটিকায় আমরা হত্যার ঘটনাস্থলে যাই এবং আসামীর দেখানোমতে পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে খোঁজাখোজির একপরযায়ে পোনে এক ঘটিকার দিকে আমরা একটি দীর্ঘকার রাম-দা উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
তিনি আরো জানান, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডে জড়িত এপরযন্ত আকুলসহ ৪জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর তিনজন হলো আকুলের পরিকল্পনার সাথে হত্যায় সরাসরি জড়িত সুনমাগঞ্জের মাহবুবুর রহমান, হত্যা মিশনে ব্যবরূত সিএনজি ড্রাইভার ( সিএনজি জব্দ) বড়কাপন গ্রামের সাইফুর আহমদ, ব্যবসায়ী লিলু মিয়ার অবস্থান সনাক্তকারী আকুলের চাচাতো ভাই আফজল আলী। স্পর্শকাতর ঘটনা হওয়ায় রহস্য উম্মোচন, অস্ত্র উদ্ধার এবং অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত সকল আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বনাথের বৈরাগী বাজারের ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান লিলু কে গত বছরের জুলাই বিপ্লবে সরকার পতনের পর উদ্ভুত পরিস্থিতে পূর্বশত্রুতার জেরে এশার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আটক আসামী ও পরিকল্পনাকারীরা হত্যা করে। মামলার প্রধান আসামী আকুল মিয়া কে (৩৪) গত এপ্রিলে জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে একটি ডাকাতী মামলায় গ্রেফতার করে মৌলভীবাজার সদর থানা পুলিশ। ডাকাতী মামলায় আটকের পর পুর্বশত্রুতার জেরে লিলু কে হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আকুল স্বীকারোক্তি দেয়। অপর একটি ডাকাতী মামলায় সুনামগঞ্জ জেলে থাকাকালীন মাহবুবুর রহমানের সাথে লিলু কে হত্যার পরিকল্পনা করে আকুল। তারা জেল থেকে বেরিয়ে বিগত ৫ ই আগস্ট পরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে লিলুকে হত্যা করে । আকুলের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও হত্যা মামলাসহ মোট ১৪টি মামলা চলমান রয়েছে। গত বছরের ১৪ আগস্ট রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার (পূর্বপাড়া) গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার ছেলে বৈরাগী বাজারের ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান লিলু এশার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আকুলদের হাতে খুন হন। এ ঘটনায় ১৬ আগস্ট লিলুর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তবস্তায় রয়েছে।