শেখ পরিবারের ছত্রছায়ায় ফুটপাত থেকে শতকোটির মালিক বাগেরহাটের শেখ কামরুল। দৈনিক লাল সবুজের দেশ দৈনিক লাল সবুজের দেশ প্রকাশিত: ১২:২৩ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২৫ এ জেড আমিনুজ্জামান রিপন: বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার চিংগড়ি গ্রামের সাধারণ পরিবারের সন্তান এই কামরুল হাসান। সামান্য ধান ভাঙ্গা তুষের টুকটাক ব্যবসায়ী ছিল সে। বিগত সরকারের আমলে বাগেরহাটের শেখ পরিবারে সদস্য শেখ হেলাল এম, পি ও তার ছেলে শেখ তন্ময়ের সান্নিধ্য লাভ করে প্রথমে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পরবর্তীতে গুলশান থানা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের পদ নিয়ে বিভিন্ন কৌশলে অবৈধ ভাবে বনে গেছে শতাধিক কোটি টাকার মালিক।বিগত সরকারের পতনের পূর্বে সে গুলশান থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের একজন জোরালো প্রার্থী হিসেবে ছিল।ঢাকা মহানগরের গুলশান লেক দখল করে মাছের ব্যবসা,গুলশানের অসহায় এক মহিলাকে প্রতারণা করে অবৈধ দখল করে গড়েছে বহুতল বিশিষ্ট ভবন। নিজের ছেলেকে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে গুলশান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি করে বাপ-বেটা মিলে ঐ এলাকায় করেছে ব্যাপক চাঁদাবাজি, অবৈধ দখল, চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ সহ গড়ে ছিল ত্রাসের রাজত্ব। তার নিজ গ্রামের বাড়ী বাগেরহাট চিতলমারির চিংগড়ীতে আপন চাচার মৃত্যুর পর শিশু চাচাতো ভাইয়ের ১০ শতাংশ জায়গা প্রতারনা করে জাল দলিলসহ জোর দখল করে ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মান করেছে সে পাশাপাশি আরো একটি বহুতল ভবন সহ গড়েছে বহু জায়গাজমি।২০২৪সালের ৫ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাপের মুখে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের পতনের পর শেখ কামরুল ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সরকারের পট পরিবর্তনের সাথে সাথে সুযোগবাদী এই নেতা সময়ের সাথে নিজের রূপ পরিবর্তন করে ওদের সাথে তাল মিলিয়ে এলাকাতে আবারো শুরু করছে ত্রাসের রাজত্ব।সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নিজের পরিবারারে আপন ভাইয়েরা ও পুড়ছে তার অবৈধ টাকার গরমে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কামরুলের ব্যক্তিগত লাইসেন্স করা অস্ত্র আছে, প্রায়ই সে ঐ অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয় দেখিয়ে নিরীহ মানুষদের মুখবন্ধ করে রাখে এলাকার আকাম কুকাম করে বেড়াচ্ছে।২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী, তার স্ত্রীসহ বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের জন্য গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন। তার গাড়ি বহর গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া পৌছালে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়। এছাড়াও এস এম জিলানী, তার স্ত্রী জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রওশন আরা রত্নাসহ অন্তত ৩৫ জন দলীয় নেতাকর্মীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা সহ বহরের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়ে এই হামলা ও হত্যার সাথে এই কামরুল সরাসরি জড়িত ছিল বলে জানা যায়। এই বহরের হামলা, হত্যা ও ভাঙচুর সংক্রান্ত মামলায় বর্তমানে সে কারাগারে আছে।এই সকল সুবিধাবাদী নেতাদের চিহিৃত করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অন্যদিকে বিএনপি ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে এসব ভয়ংকর নেতাদের দুরে রেখে দলকে নিরাপদে রাখার জন্য আহ্বান করছি। SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: