শিবচরে হঠাৎ বিদ্যুৎ বিল বাড়তি, ক্ষোভে সাধারণ গ্রাহকরা দৈনিক লাল সবুজের দেশ দৈনিক লাল সবুজের দেশ প্রকাশিত: ১১:১৮ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২৫ শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: মোঃ রিয়াজ রহমান শিবচরের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবারগুলো অতিরিক্ত বিলের বোঝা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রতি বছর জুন মাস এলেই পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ‘ভূতুরে’ বিল প্রদান করে থাকে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শিবচর পৌর এলাকা ছাড়াও মাদবরেরচর ইউনিয়নে এ সমস্যার বিস্তার বেশি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ভুক্তভোগীদের অনেকেই বলছেন, বিদ্যুৎ ব্যবহার একই রকম থাকলেও চলতি মাসে তাদের বিল ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কেউ কেউ আবার অভিযোগ করেছেন, অনুমাননির্ভর বিল তৈরি করা হয়েছে—মিটার রিডিং না দেখেই। ভুক্তভোগী গ্রাহকদের মধ্যে হাফেজ শাহীন সরদার, স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী বলেন, “আমি ছোট একটা ব্যবসা করে কোনো রকমে পরিবার চালাই। আগে প্রতি মাসে ১২০০–১৩০০ টাকা বিল আসত। অথচ এই মাসে বিল এসেছে ৪৩০০ টাকা। এটা অস্বাভাবিক। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।” শাজাহান হাওলাদার নামের আরেক ভুক্তভোগী জানান, “আমার সাধারণত ৮০০–৯০০ টাকা বিল আসে। এই মাসে এসেছে প্রায় ১৮০০ টাকা। অথচ ব্যবহার একই রকম। এটা মেনে নেওয়া যায় না।” ঢাকায় কর্মরত আব্দুল করিম বয়াতি জানান, “আমার পরিবার গ্রামে থাকে। সাধারণত ৩০০–৪০০ টাকার মধ্যে বিদ্যুৎ বিল আসে। এবার ১১০০ টাকা এসেছে। এককথায় এটা আমাদের মতো মানুষের জন্য বোঝার উপরে বোঝা।” শিবচর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) অভিলাষ চন্দ্র পালের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে সে বলেন, “প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বা সফটওয়্যারে ত্রুটির কারণে এমনটা হতে পারে। আবার মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের ভুলেও এই সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।” এ ঘটনা নিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গ্রাহকরা দ্রুত সঠিক মিটার রিডিং ও অতিরিক্ত বিল প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন। SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: