শিবচর(মাদারীপুর)প্রতিনিধি-
মো: রিয়াজ রহমান

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় ভ্যানচালক মিজানুর রহমান গাজীকে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে জড়িত থাকার অভিযোগে অজ্ঞাতসহ তিনজনকে আটক করেছে শিবচর থানা পুলিশ।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শিবচর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মোঃ আজমেরী হোসেন।

আটককৃতরা হলেন- উপজেলার কেরানী বাট এলাকার নবী নূর বেপারীর ছেলে আরিয়ান আহমেদ স্বাধীন বেপারী (২৪)। একই এলাকার মামুন মিয়ার ছেলে মোঃ আল-আমিন(২৪), শিকদার হাট গ্রামের মো. হুমায়ুন শিকদারের ছেলে হান্নান শিকদার (২৬) ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মোঃ আজমীর হোসেন বলেন, উপজেলার পৌর সভার ফায়ার সার্ভিস এলাকার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান গাজী (২০) আরিয়ান আহমেদ স্বাধীন বেপারীর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর মালামাল নেওয়া আনা করত। সে সুবাদে মিজানুর রহমান গাজী স্বাধীনের কাছে ৪৫০ টাকা পেতো। বেশ কিছুদিন ধরে টাকা চেয়েও না পেয়ে স্বাধীনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় ভ্যানচালক মিজানুর রহমান গাজীর। মূলত টাকা না দিতে এবং অপমানের প্রতিশোধ নিতে মিজানুর রহমানকে হত্যা করে আরিয়ান আহমেদ স্বাধীন বেপারী।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলমের তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মোঃ আজমীর হোসেন এবং শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রতন শেখের নেতৃত্বে শুরু হয় মামলাটির রহস্য উদঘাটন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরো বলেন, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ডিজিটাল ও অ্যানালগ পদ্ধতিতে তদন্তকাজ শুরু করে পুলিশের কয়েকটি ইউনিট। একপর্যায়ে একাধিক সিসি ক্যামেরার সূত্র ধরে শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রতন শেখ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মামলার এজাহারনামীয় দুই জন এবং এক জন অজ্ঞাতনামাসহ মোট তিন জন আসামীকে গ্রেফতারসহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) আজমীর হোসেন বলেন, ঘটনার দিন ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর হান্নানসহ অন্যান্য আসামীরা মিজানুর রহমানকে তার অটোভ্যানসহ পাঁচশত টাকায় ভাড়া করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। হান্নান শিকদার পেশায় একজন ইট ভাঙ্গার শ্রমিক এবং মাদকাসক্ত ছিলেন। হান্নান শিকদারের মাধ্যমে শিবচর থেকে কৌশলে ভ্যান চালক মিজানকে রাতে কাদিরপুর ইউনিয়নের পবন মোড়লের চর কান্দি গ্রামে সামাদ মৃধার ভুট্টা ক্ষেতের আড়ালে নিয়ে প্রথমে চড়-থাপ্পর মারে চারজন মিলে। এরপর আসামিদের সাথে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে মিজানুর রহমানকে। এক পর্যায়ে মিজানুর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে গলায় ছুরি চালায় আসামি আরিয়ান আহমেদ স্বাধীন এরপর হত্যা কান্ডে অংশগ্রহণ করে সহযোগীরা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রতন শেখসহ শিবচর উপজেলায় কর্মরত গনমাধ্যম কর্মীরা।