রক্তঝরা গণ-অভ্যুত্থানে গঠিত সরকার, জুলাই গণহত্যার বিচার কার্যকর করবেন।

প্রকাশিত: ৮:১০ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২৫

শাহীন আলম আশিক :

(ফিরে দেখা)
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত, ছাত্র – জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সময়,, গণহত্যা অভিযান পরিচালনা করে, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামিলীগ সরকার,এর অঙ্গসংগঠন,ছাত্রলীগ,যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী,যেমন: পুলিশ,র‌্যাব,বিজিবি, সেনাবাহিনীর একাংশ, আর ভারতের রিসার্চ এ্যান্ড এনালাইসিস উইং(দাবিকৃত)
১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা, ঘোষণা দিয়ে, লাঠিসোঁটা ও দেশী-বিদেশী অস্ত্র নিয়ে ব্যাপক হামলা চালায়,শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর। পরবর্তী দিনগুলোতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, যার মধ্যে পুলিশ,র‌্যাব,বিজিবি সেই সাথে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র, যুব ও স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের সাথে সহিংস সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওই সংঘর্ষের ফলে অসংখ্য মানুষ নিহত ও আহত হয়।যাদের মধ্যে রয়েছে,আন্দোলনকারী ছাত্র -জনতা, দলীয় সদস্য, কর্মীসমর্থক,আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, পথচারী ও শিশুরাও। আগষ্টের শুরুর দিকে এই সহিংসতার ফলে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে, আহতদের সংখ্যা কয়েক হাজার। এতো ব্যাপক প্রাণহানি সত্বেও ফ্যাসিষ্ট, হাসিনার সরকার এই গণহত্যার দায় অস্বীকার করে। এবং সহিংসতার জন্য আন্দোলনকারীদের দায়ী করে, বলে তাদের মধ্যে রাজাকারের নাতিপুতি, জঙ্গী ও অন্যান্য দলের সন্ত্রাসী রা তান্ডব চালিয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানের সমর্থক সরকারের উদ্যোগে,
গত ১৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ, বৃহস্পতিবার, জুলাই আগষ্টের গণহত্যা, সংঘটিত বিচার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়।
গত ১৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ রোববার। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, নুর জাহান বেগম। জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৮৬৪ নিহত ও ১৪ হাজার আহত ব্যাক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে।
গত ২১ মে ২০২৫ তারিখে প্রস্তুত ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ এজলাস। নিহত, আহতদের পরিবার,ও সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের দাবি, রক্তঝরা গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, গঠিত সরকার। গণদাবি জুলাই আগষ্টের গণহত্যার বিচার কার্যকর করবেন।