মেহেরপুরে দৈনিক কয়েক হাজার টন কাঠ যাচ্ছে ইটভাটার পেটে: হুমকির মুখে পরিবেশ, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুকি। দৈনিক লাল সবুজের দেশ দৈনিক লাল সবুজের দেশ প্রকাশিত: ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২৫ সাব্বির আহমেদ, মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুর ভারতের সীমান্তবর্তী একটি ছোট জেলা। এ জেলায় মোট তিনটি উপজেলায় নামে বেনামে শতাধিক ইটভাটা রয়েছে । সেসব ইটভাটার জ্বালানী জোগাড় করতে উজাড় করা হচ্ছে শতশত বনজ-ফলজ গাছ । একটি ইটের ভাটায় প্রতিদিন প্রয়োজন প্রায় অর্ধশত টন কাচা জ্বালানী কাঠ। আর একারনেই প্রতিনিয়ত কয়েক হাজার টন গাছপালা গ্রাস করে নিচ্ছে ইটভাটা গুলো। মেহেরপুর সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করছে ভাটা মালিকরা। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের নাজমুল বিশ্বাস জানান, বাওট বাজার থেকে মহাম্মদপুর পর্যন্ত ৩ থেকে ৪ কিলোমিটারের ভিতর ৫ টা ইট ভাটা দেখা যায়। যার ফলে এলাকায় গাছগাছালির সংখ্যা আগের তুলনায় কমে গেছে। গাছ কেটে সব গাছ এসব ভাটার জ্বালানী হিসেবে ব্যাবহার করছে। মেহেরপুর সদর উপজেলার বলিয়ার পুর গ্রামের জাহিদ হাসান জানায়,ইটভাটায় মাটি বহন করার যানবহনের মাটি রাস্তায় পড়ে রাস্তার দূর্ঘটনার সঙ্কা দেখা দিচ্ছে তাছাড়া রাস্তার স্থায়ীত্ব কমে রাস্তা দ্রুত নষ্ট হচ্ছে। গাংনী একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানায়, ২০২০ সালে আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র ২০০ গজ দুরে একটি ইট ভাটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ঐ ইটভাটার কালো ধোয়া সরাসরি প্রতিষ্ঠানের উপর প্রভাব ফেলে যা সাধারন শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ২০২০ সালের পর প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করে এবং অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করানো লাগে। মেহেরপুরের সচেতন জনগনের দাবী এসব অবৈধ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইটভাটা বন্ধে প্রশাসনের উদ্বোগ গ্রহন করা উচিত এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন ইটভাটা নির্মানের জন্য পরামর্শ প্রদান করা। SHARES অপরাধ বিষয়: