নওগাঁঃ খোরশেদ আলম

নওগাঁর মান্দায় এক গৃহবধু সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।এই অভিযোগে ৪-যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মান্দা থানা পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে ঘটনায় পর ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে মান্দা থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
এই খবর পাওয়া মাত্র নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বিপিএম সাংগে সংগে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃমনছুর রহমান ত্বরিত গতিতে মোট ৪ টি পুলিশ টিম চারিদিকে প্রেরন করেন এবং খুব দ্রুত ৪:জন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
গ্রেপ্তারকৃত যুবকরা হলেন, মান্দা উপজেলার ছোটবেলালদহ গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম সোহাগ (২৯), বড়পই গ্রামের সাইফুল ইসলাম এর ছেলে আশরাফুল ইসলাম সুইট (২৯), বিজয়পুর প্রিন্সিপালের মোড় এলাকার মোজাহার আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান মুন্না (২৯) ও বিজয়পুর মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে নাসির উদ্দিন (২৯)। এদের মধ্যে নাসির উদ্দিন মাষ্টাররোলে এসিল্যান্ডের গাড়ী চালানোর কাজ করতেন।
মামলার এহাজার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী একজন পিকআপ চালক। তারা একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ঈদ উপলক্ষে এ দম্পত্তির একমাত্র কন্যা সন্তানকে ভুক্তভোগী নারীর বাবার বাড়িতে রেখে আসেন। রাতে পিকআপের ভাড়া মারার জন্য স্বামী বাইরে যাওয়ায় বাড়িতে একাই ছিলেন ওই নারী।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ‘গতকাল রোরবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আমার স্বামী পিকআপের ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাত ৯টার দিকে আমি রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামি স্বাধীন বাসায় এসে আমার স্বামীকে ডাকাডাকি করে। স্বাধীন আমার স্বামীর পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সরল বিশ্বাসে আমার বাড়ির দরজা খুলে দেই। সঙ্গে সঙ্গে ৬-৭জন যুবক আমার বাসার ভিতর প্রবেশ করে আমার মুখ চেপে ধরে ঘরে নিয়ে একে অপরের সহায়তায় আমাকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে ৪জনকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩জনের নামে মামলা করেছেন। এ মামলায় ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আজ সোমবার নওগাঁ কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।