মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অস্থির ভৈরব বাসী
ইট পাথরে আবদ্ধ শিল্পনগরীর এই ছোট্ট শহরে বসবাস করছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। শহর জুড়ে কাছাকাছি দালানকোঠার জন্য কখনো কখনো এমন হয় যে আলো বাতাসের কোন অস্তিত্বই থাকে নাহ! মাঝরাতে শহরজুড়ে কেমন অস্বস্তিকর স্তম্ভ নিরাকপড়া! গরমে মানুষ গুলো অস্থির হয়ে পড়ে। ঘন্টার পর ঘন্টা চলতেই থাকে লোডশেডিং। ইদানীং রাত বারোটা পর থেকে প্রায় সারা রাত লোডশেডিং হচ্ছে প্রতিদিন। সারাদিনের কর্মে ব্যস্ত থাকা মানুষগুলো রাতে একটু শান্তিতে ক্লান্তি মেটাতে পারছেন না। মাত্রাতিরিক্ত গরমে চারদিক থেকে ভেসে আসে বাচ্চাদের চিৎকার। মানুষের পাশাপাশি ঘুমাতে পারে না ভালোভাবে শহরের অন্যান্য প্রাণীও। চারদেয়ালে আবদ্ধ খামারে থাকা গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি গুলোও কেমন বাকরুদ্ধ! মাঝে মাঝে অতিরিক্ত গরমে মারা যাচ্ছে অনেক প্রাণী। পুরো শহরের পাশাপাশি এখানকারর গ্রামের মানুষগুলোও কষ্ট করছে এই যন্ত্রণায়। মাত্রাতিরিক্ত এই গরমে গরীব মধ্যবিত্তরা রাতে অস্থির ভাবে জেগে ছটফট করলেও একশ্রেণির বাবু সাহেবেরা আইপিএস, জেনারেটর ও এসির বাতাসের নিচে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে দিব্যি! যার ফলে জনসাধারণের এই কষ্ট দেখার মতো কেউ নেই। এই অবস্থায় দ্রুত লোডশেডিং বন্ধের কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুরো ভৈরব বাসীর পক্ষ থেকে কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
ফারিয়া ইসলাম
শিক্ষার্থী, জিল্লুর রহমান সরকারি মহিলা কলেজ, কিশোরগঞ্জ।