রোকসানা আক্তারঃ

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ফুলবাড়িয়া উপজেলার ২ নং পুটিজানা ইউনিয়নের বেড়িবাড়ি উত্তরপাড়া বায়তুল মামুর জামের মসজিদ সংক্রান্ত বিরোধ নিহসনে শান্তিপূর্ণ বাস্তব সম্মত উদ্যোগ গ্রহণ প্রসঙ্গে ২৫ শে জুলাই রোজ বুধবার বেলা ১ টায় মানববন্ধন করা হয় এবং বিভাগীয় কমিশনার ,ডিআইজি, জেলা প্রশাসক , পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষে স্মারক লিপি গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব এইচ এম ইবনে মিজান, জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক)রেজা মোঃ গোলাম মোস্তফা প্রধান, পুলিশ সুপারের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল আল মামুন।

স্মারকলিপি গ্রহণকারীরা প্রত্যেকেই,ভুক্তভোগী মুসল্লিদেরকে আশ্বাস দেন অতি দ্রুতই বেড়িবাড়ি উত্তরপাড়া বাইতুল মামুর জামের মসজিদের যে সকল সমস্যা আছে তা অতি দ্রুতই সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সাথে সাথেই ফুলবাড়িয়া উপজেলার ইউএনও ও ওসি কে নির্দেশ দেন বেরিবাড়ী উত্তরপাড়া বাইতুল মামুর মসজিদের সমস্যাটাকে অতি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় ফুলবাড়িয়া উপজেলার ২ নং পুটিজানা ইউনিয়নে বেড়িবাড়ি উত্তরপাড়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদ দীর্ঘ ১৭৩ বছরের পথ চলা। যার CS,RS খতিয়ান ভুক্ত বেরিবাড়ী উত্তরপাড়া বায়তুল মামুর জামে মসজিদ নামে। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল মসজিদে স্বেচ্ছায় জমি দান করার নামে ভুয়া ও ঝামেলা ত্রুটিযুক্ত জমির কাগজ দিয়ে বেড়িবাড়ি বায়তুল মামুর জামে মসজিদের পূর্ব ইতিহাস অস্বীকার করে, ব্যক্তি-কেন্দ্রিক নামে মসজিদের স্বীকৃতি এবং নাম পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। পাশাপাশি তারা বর্তমান মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও ইমামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়ে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করছে । ওয়াক্ত নামাজে বিদ্যমান ইমাম থাকা সত্ত্বেও আবার নিজেরা মর্জি মতো ওয়াক্ত নামাজ পড়ছে এছাড়া বিগত সময়ে যারা মসজিদের জন্য জমি দান করেছেন প্রায় ৮ শতাংশ । তাদের মধ্যে কয়েকজন এখনো জমির আইনগত ওয়াকফ দলিল সম্পাদন করেননি যার ফলে ভবিষ্যতে মালিকানা জটিলতা ও বিরোধ আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি এবং এলাকাবাসী জানান, মসজিদের ঐতিহাসিক নাম বেড়িবাড়ি উত্তরপাড়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদ যথাযথভাবে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং মসজিদের জন্য পূর্বের দানকৃত সকল জমি যথাযথভাবে মসজিদের নামে ওয়াকফ করে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করা। সামাজিক অস্থিতিশীলতা , আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা , বিভ্রান্তি না ছড়ানো , অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিদের উশৃংখল কর্মকান্ড যাহা বিগত সময় মসজিদ ভাঙচুর করেছে তা হইতে শান্তি পরিবেশ বজায় রাখা ।

বর্তমান বৈধ কমিটির মাধ্যমে পরবর্তী তিন বছর মসজিদ পরিচালনা অব্যাহত রেখে পরবর্তীতে সকল পক্ষের সম্মতিক্রমে কমিটি পূর্ণ গঠন করা। যাতে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেই লক্ষ্যে প্রশাসনিক সহায়তা ও সমাজপতিদের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করেছেন ভুক্তভোগী মুসল্লীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব বাংলাভিশন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং একজন সমাজসেবক দীপকচন্দ্র দে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও ভুক্তভোগী মুসল্লিরা এবং এলাকাবাসী।