ভৈরব জেলা চাই দৈনিক লাল সবুজের দেশ দৈনিক লাল সবুজের দেশ প্রকাশিত: ২:১৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪ ফারিয়া ইসলাম ভৈরব থেকে : বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনবহুল, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ অঞ্চল ভৈরব! মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্রের মিলন স্থলে গড়ে ওঠেছে এই নগরী। এখানের ৩ টি বৃহত্তম ব্রিজ ঢাকা ও চট্টগ্রামকে সংযুক্ত করেছে, যা যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই শহরের সাথে দেশের প্রায় সব অঞ্চলের সড়ক পথ, নৌ ও রেল পথের অনেক ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এটি একটি ত্রিমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই শহরের উপর দিয়ে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সড়ক, নৌ ও রেলপথ রয়েছে। যাতে করে এই নগরীতে গড়ে উঠেছে বহুমাত্রিক শিল্প ব্যবস্থা। ফলে পাশ্ববর্তী বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ব্যবসা বাণিজ্য করতে এই দিকে ঝোঁকে আসে। ১৫.৭১ বর্গকিলোমিটারের এই ছোট্ট অঞ্চলে বসবাস করে লক্ষাধীকের চেয়েও বেশি মানুষ। জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশে এটি ৩৮ তম বৃহত্তর শহর এবং সমগ্র কিশোরগঞ্জের মধ্যে প্রথম। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ ব্যবসা কাজে নিয়োজিত। পাদুকা শিল্পে এটি সমগ্র বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ঢাকার পরেই ভৈরবে স্থান রয়েছে এই শিল্পে। পাইকারী কয়লা ব্যবসায় ও এই অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানে রয়েছে বেশকিছু মাছের আড়ৎ যেখানে বহু জাতের মাছ পাইকারি কেনা-বেচা করা হয়। ভৈরবে রয়েছে দেশের অন্যতম জংশন রেলওয়ে ষ্টেশন, যা সমগ্র বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি। তাছাড়া ভৈরবের মেইন শহরেই প্রায় ২০/২৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা বাণিজ্য হয়ে থাকে। প্রতি বুধবার এখানে একটি বৃহৎ হাট বসে। যেখানে প্রায় কয়েকশ কোটি টাকার কেনা- বেচা করা হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের বেশিরভাগ পণ্যই ভৈরবে সহজে পাওয়া যায়। যার ফলে পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখানে ছুটে আসে কেনা বেচা করার জন্য, যার প্রশংসা অভাবনীয়। তাছাড়া এটি যথেষ্ট পরিমাণে স্কুল, হাইস্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, হাসপাতাল সহ সামাজিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা, চিকিৎসা, সাংস্কৃতিক দিয়েও অনেকটা এগিয়ে। এখানের জমি গুলো পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকেও বেশি দামি! চাইলেই যে কেউ এখানে জমি ক্রয় করতে পারে না। এটি যেন এক টুকরো হিরে! যার প্রধান কারণ জনবহুলতা,শিক্ষা, শিল্প, ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদি। সর্বোপরি বিবেচনা করলে দেখা যায় যে ভৈরব জেলা হবার জন্য প্রায় সব দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা সকলেই আরো অবগত আছি যে ইতোমধ্যে ভৈরবকে দেশের প্রস্তাবিত ৬৫ তম জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশ পরিবর্তন হয়েছে, সরকার পরিবর্তন হয়েছে এমনকি দেশের অনেক কিছু সংস্কার কাজও চলছে। তাই এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং এই এলাকার লক্ষাধিকেরও অধিক মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য ভৈরবকে জেলা হিসেবে গড়ে তোলা ভৈরবের মানুষের প্রাণের দাবি। এটিকে একটি যোগ্য ও সমৃদ্ধ জেলায় পরিণত ও বাস্তবায়নের জন্য এমনকি আপাতত এই চিন্তাটা মাথায় রাখার জন্য হলেও কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। – ফারিয়া ইসলাম ইংরেজি বিভাগ (২০২২-২৩) জিল্লুর রহমান সরকারি মহিলা কলেজ ভৈরব, কিশোরগঞ্জ SHARES সারা বাংলা বিষয়: