ভৈরবে  সচিবের বিরুদ্ধে হয়রানী ও অনৈতিকভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ। 

প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২৫

 

২২ জানুয়ারী, এম এ হালিম, ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ)  সংবাদদাতাঃ  ভৈরবে শিবপুর ইউপি  সচিব আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে জন্ম ও ওয়ারিশান  সনদকারীদের হয়রানী ও অনৈতিকভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ।  সচিবের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির  দাবি  করেছে স্থানীয়  এলাকাবাসীরা।  সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, শিবপুর  ইউনিয়নের সচিব আতিকুর রহমান  গত কয়েক  বছর আগে শিবপুরে সচিব হিসেবে  কর্মস্থলে যোগদান করার পর থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন, নতুন সনদ তৈরী এবং ওয়ারিশান  সনদ নিতে আসা লোকজনদের কে নানাভাবে   হয়রানি  করে আসছে।  যারা তাকে  তার চাহিদা মতো টাকা দেয়  তার জন্ম ও ওয়ারিশান  সনদ দ্রূত দিয়ে দেয় । আর যারা তার চাহিদা পূরণ করতে পারেনি তাদের কাজ হয়না।  দিন যায়,মাস যায় বছর ও যায়। কিন্তু  জন্ম সনদ আর হয়না। সার্ভার সমস্যা, কাজে ব্যস্তসহ নানা অজুহাতে তাদেরকে  হয়রানি  করে আসছে।  শুধু তাই নয় শিবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা  না হয়ে ও অন্য এলাকার বাসিন্দা হয়ে ও টাকার বিনিময়ে মিলে জন্ম সনদ দেয়।

এ বিষয়ে শিবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মানিক মিয়া জানান,গত ১ বছর  আগে তার বোনের জন্ম নিবন্ধনের জন্য  আবেদন করে অধ্যাবধি জন্ম নিবন্ধন সনদ পাননি। আতিকুর রহমান জন্ম নিবন্ধন  সনদ করে দেননি।

এ বিষয়ে শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা আঃ মন্নান জানান, জন্ম নিবন্ধন সনদ করার জন্য সচিব তার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবী করেন। টাকা না দেয়ায় তার জন্ম সনদ করে দেয়নি।

এ বিষয়ে  শিবপুর  ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান স্বপন মিয়া সহ ইউপি সদস্য জামাল মিয়া, আবদুস সালামসহ একাধিক ইউপি সদস্যরা জানান,সচিব আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে  জন্ম সনদ ও ওয়ারিশান  সনদ নিয়ে  মানুষ  হয়রানী  করে  অনৈতিকভাবে অর্থ হাতিয়ে নিতো। শুধু  তাই নয়  সে শিবপুর ইউনিয়নের  বাহিরে পৌরসভার ও অন্য ইউনিয়নের নাগরিকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ৭৫ টি জন্ম সনদ বানিয়ে দিয়েছে  বলে স্থানীয় জনতা প্রমানসহ তাকে আটক করে। পরে সে স্বেচ্ছায় ২ দিনের ছুটি নিয়েছে। এর আগে ও তার বিরুদ্ধে  জন্ম ও ওয়ারিশান সনদ নিয়ে হয়রানীর অভিযোগে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়ে  ও কোন প্রতিকার পাইনি । তাছাড়া তারা আরো জানান, এখন জন্ম ও ওয়ারিশান সনদের আবেদন করে সাথে সাথে বা ১ দিনের মধ্যে সনদ পাচ্ছে আবেদনকারীরা।

এ বিষয়ে শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সচিবের  জন্ম  সনদ নিয়ে হয়রানি ও অনিয়মের  কথা স্বীকার করে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার এলাকার বেশ কিছু যুবক  পরিষদে এসে সচিবের কাছ থেকে  জোর পূর্বক স্বাক্ষর নিয়েছে এবং  তাকে মারধোর করে  আহত করেছে ।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিন জানান,সচিবের বিরুদ্ধে  কোন লিখিত অভিযোগ  কেউ করেনি। অভিযোগ  পেলে তদন্ত  করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া সচিবকে মারধোরের ঘটনায় ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।