২৮ জানুয়ারী, এম এ হালিম, ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ
ভৈরবে মেঘনা নদীর পাড়ে হঠাৎ আবারও নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে অটো রাইচ মিল, ডকইয়ার্ড ও ভৈরব বাজার। সোমবার রাত ৭টার দিকে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার স্লোগতিতে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে । ভাঙনে নদীর তীরবর্তী প্রায় ২ শ মিটারভূমি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন। তবে ভাঙন এলাকা থেকে একটি ড্রেজারসহ ২ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। স্থানীরা জানান ভাঙনের কাছ থেকে ড্রেজারে বালি উত্তোলনের ফলে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে । তবে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজারে বালি উত্তোলনের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান,জনতা সন্দেহ জনক তাদের আটক করেছে আটককৃত ড্রেজার আনলোড ড্রেজার এটি দিয়ে বালি উত্তোলন সম্ভব নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত ৭টা থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ নদী ভাঙনের ফলে ভৈরব বাজার সহ পার্শ্ববর্তী অটো রাইচ মিল, ডকইয়ার্ড এতে হুমকির মুখে পড়েছে। দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে ব্যবস্থা না নিলে কোটি কোটি টাকার ক্ষতির আশংকার রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন রাতেই নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি ভাঙন রোধে উদ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন এবং এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান ভাঙন রোধে অস্থায়ীভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হবে।
উল্লেখ্য গত ৮ সেপ্টেম্বর মেঘনা নদীর ডিপোঘাট এলাকায় নদী ভাঙনে ১৫/২০ টি বসত ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় । অল্পের জন্য মেঘনা ও যমুনা ২ টি জ্বালানি তেলের ডিপো রক্ষা পায়। স্থানীয়দের দাবী ভাঙন রোধে স্থায়ী বেড়িবাঁধ করা না হলে যে কোন সময় মেঘনা গর্ভে ভৈরববাজার,২ টি রেল সেতু ১ টি সড়ক সেতুসহ কেপিআই এলাকা বিলীন হয়ে যাবে। তাই অচিরেই স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান সরকারের কাছে ।