বিশ্বনাথে ধীরে-ধীরে জমছে পশুর হাট: ক্রেতাশুন্যতা: চাহিদার চেয়ে গরু ছাগল বেশি

প্রকাশিত: ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ, মে ২৯, ২০২৫

 

আনোয়ার হোসেন , বিশ্বনাথ ( সিলেট) প্রতিনিধিঃ

পবিত্র ঈদ-উল আযহা যতই সন্নিকটে আসছে ততই জমছে কুরবানির পশুর হাটগুলো। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর গরু ছাগলের হাটগুলোতে গরু ছাগল বেচা-কেনার বাজার জমছে ধীরগতিতে। বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন বৈধ বাজার ঘুরে এপর্যন্ত একপ্রকার ক্রেতাশুন্যতা দেখা গেছে। রয়েছে চাহিদার চেয়ে বেশি পশুর মজুদ, এমনটি জানা গেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সুত্রে।

ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বাজার গরম হওয়ার দাবী করছেন বিক্রতারা। গরু, ছাগল, ভেড়ার দাম নিয়ে ক্রেতাদের দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই এমনটি হাট বাজার ইজারাদারদে কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়া গেছে। চাহিদার অনুকূলে রয়েছে আকার আনুপাতিক গরু ছাগলের মূল্য। গরু, ছাগল, ভেড়া খরিদে নুন্যতম হাসিল আদায়ের প্রতিশ্রুতিও রয়েছে ইজারাদারদের পক্ষ থেকে।

গেল বছরের ন্যায় এবার ও উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী বৈধ পশুর হাটের সংখ্যা রয়েছে ১০ টি।  উপজেলা ও পৌরসভা মিলিয়ে ১০ টি হাটের মধ্যে রয়েছে ৪টি স্থায়ী হাট। বিশ্বনাথ সদর পুরান বাজার, বৈরাগী বাজার ও পীরের বাজার, লামাকাজী বাজারের হাটগুলো স্থায়ী হলেও অস্থায়ী ইজারা দেওয়ার তালিকায় রয়েছে মুফতি বাজার, রামপাশা বাজার, বাগীচা বাজার, প্রীতিগঞ্জ বাজার, সিংগেরকাছ বাজার, মাছুখালী বাজার,ও মিয়ার বাজার নামের বাজার গুলো। উপরোক্ত বাজার গুলোর হতে ইতিমধ্যে চারটি বাজার ইজারা সম্পন্ন হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন থেকে তথ্যটি জানা গেছে।

ঈদ কে কেন্দ্র করে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে কুরবানির গরু ক্রয় করতে বিশ্বনাথ সদর বাজারে আসা আকবর আলী ও আইনুল ইসলাম জানান গরু ছাগল এর দাম এবার সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এদিকে বিক্রেতা সামছুল ইসলাম, তাওফিক আহমেদ ও মিজানুর রহমান জানান, বেচা – কেনা এখনও পুরো ধমে শুরু হয়নি। দিনক্ষণ ঘনিয়ে এলে গরু ছাগল এর দাম বাড়তে পারে। বৈধ বাজার ইজারাদাররা দাবী জানান, অননুমোদিত হাটবাজারে যাতে গরু ছাগল বিক্রি না হয় সে দিকে যেন প্রশাসনের নজরদারি রাখা হয়।

 

এ বছর উপজেলা জুড়ে ৯৮ টি খামার ও গৃহস্থ মালিক মিলিয়ে প্রায় ৬ হাজার পশু মজুদ রয়েছে। গত বছর কুরবানীকৃত পশুর চেয়ে এবছর কুরবানির সংখ্যা বাড়বে বলে জানান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুস শহিদ হোসেন। তিনি আরো জানান, পশুর স্বাস্থ্য ও গুণগত মান পরীক্ষা ও তাৎক্ষণিক অসুস্থতা জনিত কারণে হাটে আসা পশুগুলোর চিকিৎসা প্রদানে উপজেলার বৈধ হাটগুলোতে ভেটেরিনারি ডাক্তারদের ৪ টি চিকিৎসক টিম মাঠে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।