ভৈরবে বকেয়া পাওনা পরিশোধ সহ মিল চালু করার দাবীতে শ্রমিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল দৈনিক লাল সবুজের দেশ দৈনিক লাল সবুজের দেশ প্রকাশিত: ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫ ৮ জানুয়ারী, এম এ হালিম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরব জব্বার জুট মিলের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন বোনাস পরিশোধ সহ মিল চালু করার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শ্রমিকরা। আজ শনিবার সকাল ১১ টার সময় জুট মিল চত্বরে এ কর্মসুচি অনুষ্টিত হয়। এ সময় নারী পুরুষসহ প্রায় ৫ শতাধিক শ্রমিক অংশ নেয়। শ্রমিকরা জানায়, আমরা দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর যাবত অত্যন্ত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দ্বারা আন্তরিকতার সাথে মিলে কাজ করে আসছি। শ্রমিকদের অবগত না করেই গত ২২/০৬/২০২৩ ইং তারিখে হঠাৎ মিল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে আমাদের লোকজন বিভিন্ন মিল ফ্যাক্টরীতে কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু গত ০৬/১০/২০২৪ ইং তারিখে আমাদের বেতন পূর্বের চেয়ে দৈনিক প্রত্যেককে ৫০/-(পঞ্চাশ টাকা) হাজিরা বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পূনরায় মিলে কাজ করার অনুরোধ করে। কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমরা শ্রমিকরা মিলে ফিরে এসে জব্বার জুট মিল শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সর্দারগণ মিলের কার্যক্রম চালু করি। পরবর্তীতে গত ১২/১২/২০২৪ ইং থেকে ২০/১২/২০২৪ ইং পর্যন্ত মিলটি চালিয়ে কর্তৃপক্ষ হঠাৎ মিলটি আবারো বন্ধ করে দেয়। এতে বেকার হয়ে পড়ে মিলের সহশ্রাধিক শ্রমিকবৃন্ধ। লেবার ল অনুযায়ী (কোম্পানী ইচ্ছাকৃত বন্ধ করিলে) ৩ মাস ১৩ দিনের মূল বেতন পরিশোধ করিতে হইবে, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের বকেয়া ১০ দিনের ছুটির টাকা পরিশোধ করতে হবে। চলতি বছরের দুটি ঈদ বোনাস পরিশোধও করিতে হবে। জানুয়ারি মাসের সাপ্তাহিক মুজুরী পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু ল অনুযায়ী শ্রমিকদের দাবী দাওয়া না মিটিয়ে জানুয়ারির শুরুতেই হঠাৎ মিলটি বন্ধ করে পালিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে আমরা মোবাইল ফোনে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার ফলে আমাদের চাকরি কিংবা বকেয়া টাকার প্রদানের কোন ব্যবস্থা করতেছেনা। ফলে জব্বার জুটমিলের শ্রমিকেদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। মিল শ্রমিকদের সর্দার মফিজ, জলির ও জামাল মিয়া বলেন, মিল কর্তৃপক্ষ বলেন মিলে নাকি লোকশান হচ্ছে। কিন্তু আমরা জানি কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের অনিয়ম দুর্নীতির কারণে মালিক লোকশানে পড়ছে। অবিলম্ভে তাদেরকে সরিয়ে মিলটি চালু করিলে মালিকপক্ষ যেমন লাভবান হবেন তেমনি শ্রমিদেরও কর্মসংস্থান হবে। এ বিষয়ে কথা হলে জব্বার জুট মিলের বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মাহমুদুন্ননবী বলেন, মিলে পাট আনার যে মুল রাস্তাটি রয়েছে সেটি সংস্কারের কাজ চলছে। এই কারণে বর্তমানে মিলে পাট আনা যাচ্ছেনা বলে মিলটি সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। রাস্তাটির সংস্কার শেষ হলে দ্রুত সময়েরে মধ্যেই মিলের সকল কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হবে। এছাড়াও মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করে কিছু সংখ্যক কর্মকর্তাকে অপসারণ করে নতুন করে নিয়োগ দেয়া হবে। ######### SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: