প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই রফিকুলকে হত্যা, দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের

প্রকাশিত: ৭:৪৯ অপরাহ্ণ, মে ১, ২০২৫

নড়াইল থেকে আফজাল হোসেন,

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে রফিকুল মোল্যাকে (৩৮) হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও গ্রামবাসী।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে এ হত্যার প্রতিবাদে কাঞ্চনপুর গ্রামে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেন স্থানীয়রা।
এ সময় বক্তব্য দেন – মুস্তাইন বিল্লাহ, ইভা খানম, হানেফ মোল্যা, ফিরোজ মোল্যা, আব্দুল গফুর, জামিলা খানমসহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, গত (১১ এপ্রিল) শুক্রবার নড়াইলের কাঞ্চনপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারের জেরে ফরিদ মোল্যাকে (৫৭) কুপিয়ে হত্যা করে মিলন মোল্যার লোকজন। এ হত্যাকাণ্ডটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আসামিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে গত মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে রফিকুল মোল্যার মরদেহ বাদীপক্ষের রিকাইল শেখের বাড়ির গা ঘেঁষে ফেলে যায়। এ ঘটনায় রফিকুলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল আরেক জায়গায় পাওয়া গেছে।

রফিকুলের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রিকাইল শেখসহ তার লোকজনকে দোষারোপ করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে রফিকুল হত্যায় প্রকৃতপক্ষে কারা জড়িত, তা দ্রুত বের করা সম্ভব হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, রফিকুলের মরদেহ উদ্ধারের পর প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের অন্তত ৩০ টি বাড়িঘর ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, ২৫০ মণ ধান লুটপাট এবং ৪০টি গরু-ছাগল নিয়ে গেছে। নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতন করেছে। অনেকে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
উল্লেখ্য, কালিয়ার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা এবং আফতাব মোল্যা পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ইতিপূর্বে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে দু’পক্ষের মধ্যে। এসব ঘটনায় উভয়পক্ষে একাধিক মামলাও হয়েছে। এর জের ধরে গত ১১ এপ্রিল দু’পক্ষের সংঘর্ষে আফতাব মোল্যা গ্রুপের ফরিদ মোল্যা নিহত হন। এ হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় রফিকুল মোল্যা এজাহার নামীয় আসামি ছিলেন।
কালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রফিকুল মোল্যার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা জড়িত, তা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।