মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
অধ্যাপক. ড.মুহাম্মাদ ইউনূসকে নিয়ে এলিশা ইসলাম পায়েলের বহু বছর আগের ভবিষ্যৎ বানী সত্য হওয়ায় সে আনন্দে আপ্লূৎ হয়ে ফেটে পড়েছে।পায়েল গ্রীন ইউনিভার্সিটি থেকে অনার্স শেষ করেছেন। সে দেখতে যেমন সুশ্রী সুন্দরী তেমনি কথাবার্তায় ভদ্রতায় সামাজিকতায় বেশ স্মার্ট মার্জিত বিনয়ীএবংহাসি খুশী এক সুন্দরী মেয়ে।এক পলক দেখলেই যে কোন ব্যক্তিই তাকে পছন্দ করবে।
মেয়েটির বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে যখন শুনেছে গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূস তখন থেকেই তাঁকে দেখার শখ জাগে পায়েলের কিন্তু কবে কখন কোথায় তাঁর সাথে দেখা হবে সেটা সে জানতনা।আর এত বড় মাপের মানুষের সাথে তার দেখা হবেই বা কিভাবে। তিনি ২০০৬ সালে প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে নোবেল শান্তি পুরুস্কার লাভ করে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের নাম শুধু পরিচিতই করে দেননি বরং বিশ্ববাসির কাছে বাংলা দেশের নাম অনেক উচ্চে অনেক সম্মানের হিসাবেও তুলে ধরেছেন।১৯৭৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ড. ইউনুস ১৪৫ টি পুরুস্কার অর্জন করেছেন। সারা বিশ্বের ৪৮ টি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করেছে।এমন বিচক্ষন পারদর্শী দক্ষ যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি বাংলাদেশে আর একজন আছেন কি ? উত্তর- নেই।
তাহলে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সকলেই সম্মান করুন।রিসপেক্ট টু দা রিসপেক্টটেড রিসপেক্ট টু বি রিসপেক্টটেড অর্থাৎ সম্মান করলে সম্মান পাওয়া যায়।তাঁর কথা মেনে চলুন।দেখবেন দেশ ইউরোপের মত উন্নত সমৃদ্ধশালী হতে বেশী বিলম্ব হবেনা। জনাব ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান করে তাঁর আদর্শকে ধারন করে লালন করে সম্মানিত হওয়ার জন্য এবং তাঁকে নিয়ে গবেষনা করে নিজেদেরকে পরির্বতন ও সম্মানিত করার জন্য এবং ইউনূস সাহেবকে সম্মান করে বড় হওয়ার জন্য বিশ্ববাসী সারা পৃথিবীতে নিজ খরচে নিজ উদ্যোগে ১০৭টি ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস সেন্টার বিণির্মান করেছেন।যা বাংলাদেশের কোন ইউনিভার্সিটিতে আজও করা হয় নাই।এটা বাংলাদেশের জন্য বড় লজ্জার কথা।আসলে আমাদের তো লজ্জাই নেই।লজ্জাটা আবার হবে কোথায় থেকে। যাই হোক মূল কথা হল অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মাদ ইউনূসকে নিয়ে গবেষণা করার জন্য প্রত্যেকটি ইউনিভার্সিটিতে ১টি করে ইউনূস সেন্টার চাই।তাঁকে জানার জন্য ক্লাশ ফোর থেকে সব ক্লাশে ১টি করে সাব-জেক্ট চাই।
আপনারা শুনে অবাক হবেন যে ড. ইউনূস বাহির থেকে অনুদানের টাকা এনে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছেন।তিনি নিজে এটি প্রতিষ্ঠা করলেও প্রতিষ্ঠানে তাঁর এক পয়সার মালিকানাও রাখেননি বরং এর ২৫% মালিকানা সরকারের।বাঁকি মালিকানা অসহায় অবহেলিত দরিদ্র গরীব মানুষরা।নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকে মাত্র ৩০০ ডলার বেতনে তিনি চাকুরী করতেন।তিনি এটাকে এমন ভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন যে কেউ এই ব্যবসার মালিক হতে পারবেননা।জনগনই এর মালিক থাকবেন।
অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে এলিশা ইসলাম পায়েল এবং এই প্রতিবেদকের মধ্যে এসব কথাই আলোচনা হচ্ছিল গুলশানের একটি কপি হাউসে বসে।পায়েল বল্লেন আমি মনে মনে ভেবেছিলাম এত বড় মাপের জ্ঞাণী গুণী মানুষের সাথে আমার কি কক্ষনও দেখা হবে ?এটা কি আদৌ সম্ভব হবে কোনদিন ? আবার ভেবেছিলাম যেদিনই হোক তাঁর সাথে অমার দেখা হবেই ইনশাল্লাহ।
কফি খেতে খেতে হাসি মূখে পায়েল বল্লেন দিনটি ছিল ১১আগষ্ট ২০১৯ সাল।হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরের টার্মিনালে আমার সেই কাংখিত স্বপ্নের মানুষ বিশ্বের খ্যতিমান ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম প্রধান একজন অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস এর সাথে আমার সাক্ষাৎহয়।সাথে ছিলেন তাঁর স্ত্রী আফরোজী ইউনূসও।তাঁদেরকে দেখে আমি এক্সসাইটেড হয়ে যাই।দুজনকেই আমি সালাম জানাই এবং হ্যান্ডসেক করি।হ্যান্ড সেক করার সময় ড. ইউনূস এমন একটি হাসি দেন যা কোন দিনও ভূলবার নয়।সেই দিনের সেই জগৎ বিখ্যাত বিশ্বজয়ী হাসি মূখ আমার বারবার মনে পড়ে।
দুজনই হাসি খুশী সুন্দর মানুষ।দুজনের সাথেই আমার ছবি উঠানোর সৌভাগ্য হয়।ড.ইউনুসের সাথে আমার ছবি উঠাতে খুব ইচেছ হচিছল কিন্তু লজ্জা পাচ্ছিলাম। ঐ সময় আফরোজী আন্টি আমাকে ছবি উঠানোর স্পেস করে দিয়ে বলেছিল লজ্জা পাচ্ছ কেন ? যাও আংকেলের সাথে ছবি তোল।আমি অনুধাবন করতে পারলাম যে একজন স্বামীর জীবনে স্বাবলম্বী হওয়ার পিছনে তার স্ত্রীর অবদান সব চেয়ে বেশী।এই জন্যই কবি নজরুল ইসলাম যথার্তই বলেছেন ‘’বিশ্বের যা-কিছু মহান্ সৃস্টি-চির কল্যাণ কর,অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।” আফরোজী ইউনূস জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যপক এবং চেয়ারম্যান হিসাবেও দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
কথাবার্তা আলাপ চারিতার এক পর্যায়ে অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মাদ ইউনূসকে উদ্বেশ্য করে পায়েল বলে ফেলেন যে
’’আংকেল আপনিই হবেন বাংলাদেশের রাষ্ট্র প্রধান। এ কথা শুনে ড. ইউনূস আবারও হেসে ফেলেন।পাশে বসে থাকা ড. ইউনূসের স্ত্রীও হেসে উঠে পায়েল কে অনেক উৎসাহিৎ এবং অনুপ্রণিত মূলক কথা বলেন।তারপর থেকে পায়েল যেখানে বসেন সেখানেই ড. ইউনূসের প্রশংসা করে কথা বলতে থাকেন।কেহ ড.ইউনূসের বিপক্ষে কথা বল্লে সাথে সাথে তার প্রতিবাদ করেন। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। পায়েল দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের ঘৃনা করেন।অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন।তিনি ফেসবুক যুদ্ধও করেন। তার ফেস বুক খুল্লেই দেখা যাবে শুধু ড.ইউনূসকে নিয়েই সব পোষ্ট দিয়েছেন।তারপর তিনি বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন করেছেন আর ড. ইউনূসকে নিয়ে স্বপ্নও দেখেছেন।
তিনি দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ চান।বড় থেকে ছোট পর্যন্ত একে অপরে সবাই জানতেন লুটপাট করে কে কিভাবে টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে।স্বয়ং সাবেক প্রধান মন্ত্রীও জানত যে তার পিয়ন ও ৪ শত কোটি টাকার মালিক।এ পর্যন্ত যারাই ক্ষমতায় থেকেছে তারা সবাই দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে।এমতাবস্থায় অধ্যাপক ড মুহাম্মদ ইউনূসই একমাত্র ভরসা যে তিনি বাংলাদেশকে দুর্নীতি মুক্ত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন ইনশাল্লাহ।
যখন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার চেয়ারে বসলেন তখন খূশিতে ফেটে পড়লেন পায়েল।তার মনের আশা পুরন হয়েছে। তার ভবিষ্যৎ বাণী সঠিক হয়েছে।তাঁর আন্দোলন সফল হয়েছে।ঐ সময় পায়েলের ২০১৯ সালের ১১ আগষ্টের ভবিষ্যৎ বাণীর কথা বার বার মনে পড়েছে। মনে পড়েছে ড.ইউনূস এবং তাঁর স্ত্রীর সাথে সেই দিনের সেই সুন্দর স্মৃতির কথাও।সেই আনন্দে পায়েল আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব ও পরিচিত জনদের মধ্যে মিষ্টিও বিতরন করেছেন।উল্লাস করেছেন বান্ধবীদের নিয়ে।
কফির টেবিল থেকে একজন বলে উঠলেন ড. ইউনূস তো নাস্তিক।সাথে সাথেই পায়েল বাঘিনীর মত ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদ করে বলে উঠলেন নো নো নো ।ড. ইউনূস আস্তিক।তিনি একজন খাঁটি মুসলমান।তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। ফজরের নামাজ পড়ে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন।আর বাংলাদেশে এত সুন্দর নামের
মানুষ ইতো পূর্বে আর কেহ কক্ষনই ক্ষমতায় আসেননি। তাঁর নামটি একজন নবীর নামে নাম।ইউনূস নবী নামে একজন বিখ্যাত নবীও ছিলেন।তাছাড়াও সব মুসলমানন্দের নিকট দোয়ায়ে উনুস নামে একটি দোয়াও বিখ্যাত হয়ে আছে।বালা-মুছিবতের সময় এই দোয়াটি পড়লে বালা-মুছিবতও দূর হয়।জন্মের সময় ড. ইউনূস তাঁর নিজের নাম নিজে রাখেননি।তাঁর পরিবারের লোকেরাই তাঁর নাম রেখেছেন ইউনূস।এতে বুঝা যায় যে তাঁর পরিবার এবং তাঁর পূর্ব পুরুষরাও ছিলেন মুসলিম এবং ধার্মিক।
পায়েল আরো বলেন যে, ড. ইউনূস তো জোর করে ক্ষমতায় আসেননি।জনগন তাঁকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন।সুতরাং দেশ এবং জাতীকে সমৃদ্ধশালী ও উন্নত জাতী হিসাবে গড়ে তুলতে তাঁকে সহযোগিতা করুন এবং একটু সময় দিন।ঘরে নতূন বধু আসা মাত্রই দেবর ননদ,শোশুর –শাশুড়ী, স্বামীর দাবী মোতাবেক সাথে সাথেই নববধু সন্তান দিতে পারেননা।সন্তান উপহার পেতে বা দিতেও একটা সময় লাগে।
একটু অপেক্ষারও প্রয়োজন হয়।
সব শেষে পায়েল বলেন”আসুন আমরা সবাই প্রকৃতই দেশ প্রেমিক হই।দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র না করি। সিন্ডিকেট করে দ্রব্য শূল্য বৃদ্ধি করে দেশের মানুষকে শোষন না করি ও হতাশায় না ফেলি।একটি গ্রুপ ঠুনকো বিষয়কে রংচং লাগিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেশে হৈচৈ ফেলে দিয়ে সাধারন জনগনকে ক্ষেপিয়ে তুলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিতর্কিত করে বিপদের মূখে ঠেলে দিতে চায়।এসব ষড়যন্ত্র কারী মোনাফেক বিশ্বাস ঘাতক ঘষেটি বেগম, মির্জাফরদের সতর্ক থেকে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা জুরুরী।
এলিশা ইসলাম পায়েল উত্তর বঙ্গের সিরাজগঞ্জ জেলার এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।তিনি বর্তমানে অভিজাত এলাকা বনানীতে বসবাস করছেন।তিনি ফলো করে প্রিন্সেস ডায়নাকে। ডায়নাকেই তিনি কপি করেন।চলনে বলনে,চুলের কাটিং বেশভূষায় এবং চেহারায় বর্তমানে তিনি ছেইম যেন প্রিন্সেস ডায়না। গুলশান বনানী অঞ্চল সহ বিভিন্নি ভিআইপি অঞ্চল দিয়ে চলা ফেরার সময় অনেকেই প্রিন্সেস ডায়না মনে করে পায়েলের দিকে অপলক দৃস্টিতে তাকিয়ে থাকেন এবং ছালাম দিতে থাকেন।কেহ কেহ পায়েলকে ডেকে অনুরোধ করে ডায়নার স্মৃতি স্বরনীয় বরনীয়করে রাখার জন্য সে নিজে এবং তার ছেলেমেয়েদের সাথে ছবি তোলেন।এই জন্য তাকে বাংলার লেডি ডায়না বলে ডাকা হয়। সুযোগ পেলে পায়েল অসহায় অবহেলিত বৃদ্ধ এবং এতিম শিশুদের নিয়ে মানবিক কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
পায়েল বলেন ড.ইউনুস এর সাথে প্রথম দেখা হওয়ার যে ফিলিংসটা আমি এখনও ফিল করি, যদি তাঁর সাথে আমার দ্বিতীয় বার দেখা হত তাহলে আমি নতূন একটা জীবন পেতাম।আমার জীবনে আর কোন চাওয়া পাওয়া নেই। জীবনের শেষ চাওয়া পাওয়া হল ড. ইউনুসের সাথে আমার সরাসরি আরএকবার দেখা হওয়া।ছোট বেলায় ড.ইউনুসের সাথে দেখা হওয়ার যে স্বপ্ন দেখে ছিলাম। মহান রাব্বুল আলামিন আমার মনের সেই স্বপ্ন সেই আসা পূর্ণও করে দিয়েছেন।অধ্যপক ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবংঅন্তর্বর্তী কালীন সরকারের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ ইউনুস যতদিন বেঁচে আছেন ততদিন বাংলাদেশের দায়িত্বে থাক এটাই আমার চাওয়া আমিন।