নওগাঁঃ খোরশেদ আলম
নওগাঁ মান্দা উপজেলা ডিফেন্স এক্স সোলজার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মান্দা উপজেলা বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উপজেলা শাখার অডিটোরিয়ামে বেলা ১১-৩০ মিঃ হতে দুপুর ২ টা পর্যন্ত এই দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আঃকাদের,
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেঃকর্ণেল (অবঃ) আব্দুল লতিফ খান,উপদেষ্টা বি এন পি চেয়ার পার্সন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাঃইকরামুল বারী এম বিবিএস, উপদেষ্ঠা মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন নওগাঁ জেলা শাখা, ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। আব্দুল কাইয়ুম,অধ্যক্ষ সাবেক ও বিএনপি প্রতিষ্টাতা সভাপতি নওগাঁ জেলা শাখা।
সাহানা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ বেদারুল ইসলাম মমিন,নওগাঁ জেলা মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ সৈনিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটি মোঃখোরশেদ আলম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন রেজা, উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মুকুল প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।এ সময় উপস্হিত সৈনিকদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সঞ্চালক ওয়ারেণ্ট অফিসার মোঃআইন আলী ডাঃ ইকরামুল বারী কে উদ্দেশ্য করে বলেন আপনি একজন সেনা কর্মকর্তার পিতা ও আগামী দিনে মান্দার ভবিষ্যৎ নেতা, আমাদের অফিস সহ বিভিন্ন সমস্যা আছে যদি আল্লাহ পাক আপনাকে ক্ষমতা দান করেন, আমাদের সমস্যা গুলো দেখবেন এবং আমরা অবসরপ্রাপ্ত সকল সৈনিক কথা দিচ্ছি মান্দার সকল সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সহ পরিবার আপনার সাথে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। ডাঃইকরামুল বারী তার বক্তব্যে তিনি বলেন আমি একজন সেনা কর্মকর্তার পিতা ও ডাক্তার হিসেবে কথা দিচ্ছি আল্লাহ পাক আমাকে যদি কোনো দিন সন্মানিত করেন এবং ক্ষমতায় আসতে পারি, আমি এই পরিবারের একজন পিতা হিসেবে আপনাদের সকল ভালো কাজে সাথে থাকবো এবং সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ।আমি ডাক্তার হিসেবে এলাকার সাধারণত মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকি তাও প্রায় বিনা টাকায়,কেহ ইচ্ছে করলে দেয়, না দিলে আমি তাদের ফ্রিতে চিকিৎসা প্রদান করি আর কোন সৈনিক বা তার পরিবার আসলে তো কোন কথাই নাই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে লেঃকর্ণেলঃআব্দুল লতিফ খান বলেন ২১ নভেম্বর একটা ঐতিহাসিক দিন। বাংলাদেশ যতদিন দূনিয়ায় টিকে থাকবে তা বাঙালি জাতি স্বরন রাখবে। এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্য গন একযোগে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর উপর আক্রমণ করে। তারা সেই আক্রমণ প্রতিরোধ করতে না পেরে পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং তারই ধারাবাহিকতায় একের এক এলাকা স্বাধীন হয়।শেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে ১৬ ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পূর্নাঙ্গ রুপে স্বাধীনতা পায় এবং বাংলাদেশ নামে একটা স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচয় লাভ করে।