নওগাঁঃখোরশেদ আলম

নওগাঁ ব্যাটালিয়ন (১৬ বিজিবি) কর্তৃক বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালন করেছে আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্যের অপব্যাবহার ও অবৈধ পাচার রোধে রালি ও আলোচনা সভা।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি মাদকদ্রব্য পাচার রোধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে এবং এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করে আসছে। সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি নিয়মিত অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে চলেছে।
২৬ জুন ২০২৫ তারিখে “মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২৫” উদযাপন উপলক্ষে নওগাঁ ব্যাটালিয়ন (১৬ বিজিবি) কর্তৃক বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে মাদকবিরোধী বার্তা সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সেমিনারে অংশগ্রহণ, ফেস্টুন প্রদর্শন, লিফলেট বিতরণ ও মাদক বিরোধী র‍্যালী প্রদর্শন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ১৬ বিজিবি অধিনায়ক লেঃকর্ণেল মোহাম্মদ আরিফুর ইসলাম মাসুম পিএসসি। এসময় উপস্থিত ছিলেন ১৬ বিজিবির বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার, জেসিও, এনসিও সৈনিক বৃন্দ। ১৬ বিজিবি অধিনায়ক বলেন
বর্তমান প্রজন্ম ও তরুণ সমাজের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সপ্তাহ ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায়, অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের মধ্যে মাদকের কুফল, সামাজিক ক্ষতি ও আইনগত পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক সভা, মাদকের কুফল সম্পর্কিত ব্যানার বিভিন্ন স্থানে স্থাপনসহ লিফলেট বিতরণ করা হয়। আয়োজিত জনসচেতনতামূলক সভায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার প্রতিরোধে পরিবারের ভূমিকা, মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যক্রমে জনসম্পৃক্ততা এবং যুব সমাজকে সচেতন ও সঠিক পথে পরিচালিত করার করণীয় বিষয়ক আলোচনা করা হয়।

এছাড়াও, সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে বিজিবি সদস্যদের মধ্যে মাদকবিরোধী চেতনা ও দায়িত্বশীলতা জাগ্রত করার লক্ষ্যে মাদক বিরোধী অঙ্গীকার ও উদ্বুদ্ধকরণমূলক সভা পরিচালনা করা হয়।

মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি যা শুধু ব্যক্তি নয়, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিজিবি মাদক নির্মূলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গীকারাবদ্ধ। সীমান্তে মাদক পাচার প্রতিরোধে বিজিবি’র চলমান অভিযানের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির এ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।