নওগাঁ-খোরশেদ আলম

নওগাঁ বদলগাছী উপজেলার পশুরামপুর এলাকা থেকে ১৯৫ পিস নেশা জাতীয় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন সিপিসি -৩ জয়পুরহাট (র‌্যাব-৫)। এ সময় আরও একজন পালিয়ে যায়, যাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র‌্যাব-৫ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর ক্যাম্প অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃনাজমুল হক এর সরাসরি নির্দেশে রাবের একটি চৌকস বিশেষ দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানাধীন পশুরামপুর এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে ১৯৫ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— পশুরামপুর গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. হোসাইন (২৯), মো. ফরহাদ হোসেনের ছেলে মো. সাহাদাত হোসেন শামীম (২০) এবং জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার গণিপুর গ্রামের মো. মামুনুর রশিদের ছেলে মো. ছামীউল হাসান (১৯)। এছাড়া অভিযানের সময় আরেক আসামি পশুরামপুর গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. রাসেল (২৮) কৌশলে পালিয়ে যায়।
র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত মো. হোসাইন একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে নওগাঁর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ মাদক সংগ্রহ করে এবং তার সহযোগী সাহাদাত, ছামীউল ও পলাতক রাসেলের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করতো।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হক বলেন মাদক বর্তমান সমাজ কে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে এবং সকল অপকর্মের মূল মন্ত্র মাদক।আমরা সেই মাদক কে নির্মুল করার আপ্রান চেষ্টা করছি। দেশের সাধারণ ও সচেতন মানুষ কে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের তথ্য দিয়ে আপনারা সহযোগিতা করুন।আমরা মাদক মুক্ত নিরাপদ সমাজ উপহার দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল গত কয়েকদিন ধরে গ্রেফতারকৃতদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ও ধরন নথিভুক্ত করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী নওগাঁর বদলগাছী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা সব ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। বিশেষ করে মাদক নির্মূলে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।