নওগাঁ জেলা পুলিশের ঝটিকা অভিযানে ৩ ডাকাত গ্রেফতার ও ৩০ লক্ষ টাকার লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার

প্রকাশিত: ১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২৫

 

নওগাঁ-খোরশেদ আলম

নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বিপিএম এর এর সরাসরি নির্দেশনায়, বিশেষ অভিযানে ৩ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বিপিএম, আরও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃগাজিউর রহমান বিপিএম পদন্নোতি পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম, ওসি ডিবি মোঃআব্দুল মান্নান এবং নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃনূরে আলম সিদ্দিকী।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় আত্রাই থানাধীন আহসানগঞ্জ হাটের পার্শ্বে ৫ সদস্যের একটি ডাকাত দল স্বর্ণ ব্যবসায়ী আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ গ্রামের রামকৃষ্ণ প্রামানিকের ছেলে নান্টু কুমার প্রামানিক কে পথরোধ করে তার উপর আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল লুণ্ঠন করে। নান্টুর কাছ থেকে ডাকাতরা স্বর্ণ, রূপা ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় আত্রাই থানায় ডাকাতির মামলা রুজু হলে নওগাঁ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ারের নির্দেশনায় একাধিক পুলিশ টিম মাঠে নামে। তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে যে, স্বর্ণ ব্যবসায়ী নান্টু কুমার প্রামানিক তার ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে চোরাইকৃত স্বর্ণ ক্রয়ে জড়িত ছিলেন। এরই মধ্যে ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য রেজাউল মন্ডল (৩০), পিতা-তালেব মন্ডল সাং মালিপুকুর, থানা-আত্রাই, জেলাঃ নওগাঁ, এবং তার সহযোগীরা নান্টুর স্বর্ণ ও টাকা লুট করার পরিকল্পনা করে।
ডাকাতি পরিকল্পনা অনুযায়ী, মোঃ আজাদুল দেওয়ান (৪৭), পিতা-মৃত বদর উদ্দিন, সাং বজরুক আতিতা থানা-নওগাঁ সদর, মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৪২), পিতা-মৃত আসাদুল ইসলাম, সাং শেরপুর, থানা-নওগাঁ সদর, এবং রেজাউল মন্ডল (৩০), মোটরসাইকেল যোগে আত্রাই থানার আহসানগঞ্জ হাটের দক্ষিণে মালাধর বড় ব্রিজের কাছে পৌঁছে নান্টু কুমার প্রামানিকের মাথায় আঘাত করে এবং তার ব্যাগ থেকে স্বর্ণ, রুপা এবং নগদ ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল লুণ্ঠন করে।
পুলিশের একাধিক টিম গত রাতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানা, নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর ও আত্রাই থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে ডাকাতদের। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, পুলিশ তাদের হেফাজত থেকে ৪০ হাজার টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি নতুন কেনা একটি মোটরসাইকেল এবং ১টি স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করে।
এছাড়া, আসামী মোঃ আজাদুল দেওয়ান এর বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মোট ১৯টি মামলা রয়েছে এবং মোঃ রেজাউল মন্ডল এর বিরুদ্ধে ৩টি ডাকাতি মামলা রয়েছে।
আসামীদের ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।