খোরশেদ আলম, নওগাঁঃ

নওগাঁ পতিশহরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্য দিয়ে পালিত হলো, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ জন্ম দিন। তিনদিন ব্যাপী বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে নওগাঁর আত্রাইয়ের পতিসর কাচারী বাড়িতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত। ৮ মে (বৃহস্পতিবার) বিকেলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে তিনদিনের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসি,সভাপতিত্ব করেন নওগাঁর সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁর সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বিপিএম, আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,প্রফেসর ড,ইফতিখারুল আলম মাসউদ রেজিষ্ট্রার,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ড,মোঃবেলাল হোসেন অধ্যক্ষ,সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ বগুড়া, ড,মোহাম্মদ শামছুল আলম সহযোগী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, নওগাঁ সরকারি কলেজ সহ দেশ বরেণ্য ব্যাক্তি বর্গ ছাড়াও নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।

পরে কাচারি বাড়ির দেবেন্দ্র মঞ্চে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার। আলোচনায় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. বেলাল হোসেন ও নওগাঁ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, ও নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ রাণীনগর এবং আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুধীজনসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি ভাবে তিনদিন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও স্থানীয় ভাবে এই রবীন্দ্র উৎসব চলবে আরও কয়েকদিন। এসময় পতিসর কাচারি বাড়িতে কবি ভক্তদের পদচারণায় এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পতিসরে বসেছে গ্রামীণ রবীন্দ্র মেলা।

আর এই দিনকে ঘিরে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে চলছে উৎসবের আমেজ। আত্রাই উপজেলার নাগর নদীর তীর ঘেষে গড়ে উঠা নিভৃত পল্লী পতিসর কাছারি বাড়ি। কবিগুরু জমিদারী প্রাপ্ত হয়ে প্রথম পতিসরে আসেন ১৮৯১ সালে ১৫ জানুয়ারিতে। এরপর থেকে কবি ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত নাগর নদ দিয়ে বজরায় চড়ে নিয়মিত এই কুঠি বাড়িতে আসতেন। সবশেষ আগমন ঘটে ১৯৩৭ সালে ২৭ জুলাইয়ে। এখানে বসে রচনা করেছেন অনেক বিখ্যাত কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ।