দোকানের সালামী ও পুলিশের গাড়ি কেনা নামে কাপ্তান বাজার রোড সাইড মার্কেট কমিটির কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি

প্রকাশিত: ৫:০৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫
Oplus_131072

“”””'””””””””””””'”‘”‘””
রিয়াজ আহমেদ :
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন রাজধানীর কাপ্তানবাজার রোড সাইড পৌর মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। তাদের অত্যাচারে সাধারণ সদস্য ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধাচরণ করলে দোকান হাতছাড়া হতে পারে এই ভয়ে তটস্থ থাকেন তারা। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ২০১৯ সালে এই মার্কেট পূর্ণনির্মাণ কাজ শুরু করে। অথচ এর বহু বছর অর্থ্যাৎ ২০১৪ সালে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এরপরও এই কমিটির কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় প্রশাসনের দেখবাল যে নেই সেটি স্পষ্ট। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মনে জাগা হাজারো প্রশ্নের উত্তর খোঁজে পাচ্ছেন না।

জানাগেছে, মার্কেট পূর্ণনির্মাণের জন্য ২৪ হাজার বর্গফুট বরাদ্দ দেয় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। মার্কেট কমিটি অবৈধভাবে ড্রেনের ব্যবস্থা না রেখে সেটি দখলে নিয়ে ৩৬ হাজার বর্গফুট জমিতে মার্কেট নির্মাণ করেন। এরমধ্যে নীচতলায় ৩ হাজার ৪৮৬ বর্গফুটের দোকান বাড়িয়ে নির্মাণ করেন ৪.৮০০ বর্গফুট। আপ উপরে নির্মাণ করেন ৪ হাজার ৬০০ বর্গফুট। এদিকে, দোকান নির্মাণ খরচ হিসাবে মোট ১৭১ টি দোকান থেকে নীচতলায় ৩ লাখ এবং উপরে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি দোকানের স্যাটার এবং টাইলস স্থাপন বাবদ ১ লাখ টাকা করে নিয়েছে। এছাড়াও দোকান বড় করে দেওয়ার নামে কয়েক লাখ টাকা বাড়তি নিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। শুধু তাই নয়, মার্কেটের জন্য বরাদ্ধ চারটি বাথরুম না বানিয়ে সেখানে দোকান তৈরি করা হয়েছে। যাকে চরম অনৈতিক কাজ হিসাবে বিবেচনা করছেন সাধারণ সদস্যরা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মার্কেটের দোকানদার ও ক্রেতারা পস্রাব-পায়খানার প্রয়োজনে কোথায় যাবেন তার সদুত্তর দিতে পারেননি কেউ।
এদিকে আরও অভিযোগ ওঠেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রতিটি দোকানের সালামী বাবদ ধার্য্য অর্থের চেয়ে সদস্যদের কাছ থেকে ১ লাখ থেকে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করেছে মার্কেট কমিটি।
অন্যদিকে ওয়ারী থানা পুলিশের গাড়ি কিনে দেওয়ার কথা বলে ১৭১জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা দাগে টাকা নিয়েছে। এরমধ্যে নীচতলার দোকান মালিকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ এবং উপর তলার দোকানীদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে নিয়েছেন মার্কেট কমিটির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা।