ঢাকায়  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাত্রাবাড়িতে কিশোর যোবায়েদ নিহত।।  আসামি ভৈরবের ৯৪ জন।  নিহতের পরিবার চিনেন না বাদি কে? তদন্তের দাবি।

প্রকাশিত: ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২৫

 

, ভৈরব সংবাদ দাতা :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র – জনতার আন্দোলনে ঢাকার যাত্রাবাড়িতে  পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে  যোবায়েদ  ।  এ ঘটনায়  যোবায়েদের  পরিবার  পুত্র  হত্যার ঘটনায়  কোন মামলা দায়ের করেননি।

কিন্তু যোবায়েদের পরিবার পুত্র  হত্যার  বিচার চেয়ে মামলা  দায়ের   না করলে ও রসুলপুর গ্রামের মনির নামে যুবক এ ঘটনায়  ভৈরবের ৩ জন গণমাধ্যম  কর্মীসহ আওয়ামী লীগের ৯১ জন নেতা- কর্মীদের বিরুদ্ধে   যাত্রা বাড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায়  ভৈরব পৌর আওয়ামী লীগের  পরিবেশ  ও বন বিষয়ক সম্পাদক  মনির হোসেন এবং  ২ নং ওয়ার্ড  যুব লীগের সভাপতি  বাবুল মিয়া ঢাকা কেন্দ্রীয়  কারাগারে রয়েছেন।  মামলা  দায়েরের বিষয়ে নিহত যোবায়েদের মা  হোসনে আরা বেগম, বাবা নাজির মিয়া জানান,মামলার বাদী কে তারা চিনেন না।

তার ছেলে আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের  গুলিতে নিহত হয়েছে । মামলায় যে অভিযোগ  করা হয়েছে  যে তার পুত্র  কে আসামিরা তুলে নিয়ে  গিয়ে  হত্যা করেছে  সেটি সত্য নয়।

জানাযায়,   ভৈরবের আগানগর ইউনিয়নের গকুল নগর গ্রামের নাজির মিয়া অভাবের তাড়নায় সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরাতে  ২ পুত্র, স্ত্রী সহ ঢাকার  শনির আখড়ায় একটি ভাড়া বাসাতে উঠেন।  তাদের বড় পুত্র  যোবায়েদ (১৬)  একটি ফার্নিচারের দোকানে ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকরী নেন । তার টাকাই কোন রকমে চলতো সংসারের খরচ। যোবায়েদের বাবার বাড়ি- ঘর নেই। নানার বাড়িতে থাকতো। তাই অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে যায় ঢাকাতে। কিন্তু কে জানতো স্বপ্ন  স্বপ্নই থেকে যাবে।  ৫ আগষ্ট  ছাত্র – জনতার আন্দোলন যোবায়েদ ও যোগ দেই।  আন্দোলনে যোগ দেয়ার আগে সকালে মাকে বলছে একটু বের হচ্ছে । কিছুক্ষণের  মধ্যেই বাসায়  ফিরবে। কিন্ত মা ভাত রান্না করে ছেলে আসার অপেক্ষায় । ছেলে ঘরে ফিরবে মায়ের হাতের রান্না করা ভাত খাবে। কিন্তু  দুপুর গড়িয়ে  বিকেল হয়ে  গেছে এখনো ছেলে  ঘরে ফিরছেনা। মায়ের মন অস্থির হয়ে  উঠলো। পরে ছেলের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজে অবশেষে  রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অন্যদের মরদেহের সাথে ছেলের গুলিবিদ্ধ   মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে সেখান থেকে ছেলের মরদেহ ভৈরবে এনে পরদিন দাফন সম্পন্ন করে। বাবা নাজির মিয়া ও মা হোসেনে আরা ছেলে হারােনার শোক সয়তে পারছেন না। ছেলেকে হারিয়ে সংসারের অভাব যেন আরো বেড়ে গেলো। বাবা ও ছোট ভাই জুনায়েদ কোন কাজ করতে পারছেননা। তাদের চোখে যোবায়েদের সেই চিরচেনা মুখ ভেসে ওঠে । তাই ছেলে হত্যার বিচার সহ সরকারি অনুদানের দাবী জানান অসহায়  পরিবারটি।
মামলার ব্যপারে ভৈরবে যাদের আসামী করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যমূলক তাই নিহতের পরিবার এ মামলার ব্যপারে কিছুই জানেন না।
মামলাটি সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্হা নেয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী আসামীদের পরিবার।