টুঙ্গিপাড়ায় ইভটিজিং কেন্দ্রিক সংঘর্ষকে রাজনৈতিক প্লাটফর্মে আনতে যুবদলের সংবাদ সম্মেলন। দৈনিক লাল সবুজের দেশ দৈনিক লাল সবুজের দেশ প্রকাশিত: ১০:২৩ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০২৫ এ জেড আমিনুজ্জামান রিপন: ঘটনাটিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষ হিসেবে চালানোর চেষ্টা করছে একদল সুবিধাবাদী টুঙ্গিপাড়া ্উপজেলা বিএনপির অঙ্গ- সংগঠনের নেতাকর্মীরা । সংঘর্ষ পরবর্তী গত ৮ ই জুন এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংঘর্ষের ঘটনাটিকে রাজনৈতিক প্লাটফর্মে নেওয়ার চেষ্টা করছে। দুই পক্ষের সৃষ্ট সংঘর্ষ সমাধানের জন্য উভয় পক্ষের সম্মতি ক্রমে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী সরকারের আমলের শেষের দিকের সর্বাধিক নির্যাতিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী মাসুদকে দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঐ সুবিধাবাদী নেতার নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মাসুদ গাজীকেই পাঠার বলি বানানোর চেষ্টা করে। সরেজমিনে গণমাধ্যম কর্মীদের এক ছায়া তদন্তে উঠে আসে, জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী ইউনিয়নের কুশলী বাজার এলাকায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয় । বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত আনুমানিক ৮টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ব্যপারে দেশের নামকরা জাতীয় পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। আজকের পত্রিকা, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, চ্যানেল- ২৪, সহ বিভিন্ন প্রকাশিত খবরে একজন নারীকে উত্ত্যক্ত ও গ্রামের দলাদলির প্রভাব বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ সৃষ্টির প্রকৃত সত্য বিষয়টি তুলে ধরা হয়। ঐ সময়ে টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খোরশেদ আলম সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বক্তব্য দিয়ে ছিলেন, নিলফা গ্রামের একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা নিয়ে মিরাজ মোল্লার ছেলে মোক্তার মোল্লার সঙ্গে একই গ্রামের হেদায়েত মেম্বারের ছেলে জামাল সিকদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে উভয়পক্ষ ইট-পাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার ৮ই জুন সকাল ১০ টায় প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জ সংবাদ সম্মেলন করে সংঘর্ষে তার বিরুদ্ধে নারীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল। সংবাদ সম্মেলনে তার এ বিষয়টি রাজনৈতিক সংঘর্ষ বলে মিথ্যা বক্তব্য পেশ করেন। তাদের ভাষ্যনুজায়ী এ সংঘর্ষ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা বিএনপির নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালায়। সংবাদ সম্মেলনের ব্যানারে তারা আওয়ামী লীগের এক নেতার এ সংঘর্ষের সাথে জড়িত বলে ছবি দিয়েছে, তার এই সংঘর্ষের সাথে তার কোন সংস্লিস্টতা খুজে পাওয়া যায় নাই। এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রশাসন, এলাকাবাসীরসহ সংঘর্ষের সাথে জড়িত উভয় পক্ষের ডাকে ব্যপারটি মীমাংসা করতে তিনি এগিয়ে এসেছিলেন। এ ব্যপারে টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সংঘর্ষের সাথে মাসুদ গাজীর কোন সংস্লিস্টতা নাই। তাছাড়া এটা বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো সংঘর্ষ নয়। এটা ঐ গ্রামের দলীয় কোন্দল। এ ব্যপারে মাসুদ গাজীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ওরা যা বলছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ওরা ওদের নিজেদের গোন্ডগোল মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য আমাকে ডেকেছিল। প্রশাসনও ব্যাপারটি জানে। ওরা কী কারণে আমার বিরুদ্ধে এই কুচ্ছা রটাচ্ছে তা আমি নিজেও জানি না। SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: