গোপালগঞ্জে স্বামীর নির্যাতনের শিকার এক নারী বিজিবি সদস্য।

প্রকাশিত: ১১:২৩ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২৫

এম,এম, মুশফিকুর (ইরান) গোপালগঞ্জ:
গোপালগঞ্জে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন এক নারী বিজিবি-সদস্য। বৃহস্পতিবার দুপুরে ৯৯৯ এ কল পেয়ে জেলার টুঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ ওই উপজেলার দক্ষিণ বাশুড়িয়া গ্রামে তার শ্বশুড়বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে তিনি থানায় এব্যপারে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী বিজিবি-সদস্য আফসানা ফেরদৌসী অভিযোগ করেছেন, তার স্বামী দক্ষিণ বাশুড়িয়া গ্রামের ওহাব মোল্লার ছেলে রেজাউল হোসেন প্রায়শই সাংসারিক নানা বিষয় নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার রাত ১০টার দিকে তার স্বামী তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করে এবং যে কোন ধরনের ক্ষতির হুমকি দিয়ে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখে। পরে সকালে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
আফসানা ফেরদৌসী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি বিজিবি’র মেডিকেল কোরে খাগরাছড়িতে নার্স হিসেবে কর্মরত। ১৪ বছর আগে তার বিয়ে হয়। তার ১১ বছরের ছেলে রেদোয়ান হোসেন (সকাল) কে নিয়ে তিনি খাগরাছড়িতে থাকেন। আর তার স্বামী রেজাউল হোসেন কোহিনুর কোম্পানিতে চাকরি করেন এবং খুলনায় ভাড়াবাড়িতে থাকেন। ঈদের আগে এক মাসের ছুটি নিয়ে তিনি ছেলেকে নিয়ে খুলনায় আসেন এবং পরে সবাইকে নিয়ে সেখান থেকে টুঙ্গিপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে যান।
আফসানা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধারে আমার স্বামী রেজাউল আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার গভীর রাতে শ্বশুরবাড়িতে থাকা অবস্থায় সে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে, গরু জবাই করা ছোড়া নিয়ে তেড়ে আসে এবং সবশেষে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। এরপর সে খুলনায় ছোট-মামাকে ফোন করে নানাধরণের গালিগালাজ ও হুমকি-ধামকি দেয়। এতে মামা শঙ্কিত হয়ে আমাকে উদ্ধারের জন্য ৯৯৯ ‘এর সাহায্য নেন। পরে টুঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ এসে সেখান থেকে আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
৯৯৯ ‘এর ম্যাসেজ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই বিজিবি-সদস্য আফসানা ফেরদৌসীকে উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করে টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, উদ্ধারকালে অভিযুক্ত রেজাউল হোসেনকে পাওয়া যায়নি। ভিকটিমকে তার ছোট-মামা জাহাঙ্গির আলমের জিম্মায় দিয়ে দেয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।