গোপালগঞ্জে ধর্মান্তরিত হয়ে অত্যাচারিত হওয়ার প্রতিবাদে ভুক্তভোগীর সংবাদ-সম্মেলন দৈনিক লাল সবুজের দেশ দৈনিক লাল সবুজের দেশ প্রকাশিত: ৯:৫৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২৫ এমডি নাঈম গোপালগঞ্জ : ইসলাম ধর্র্মকে শ্রেষ্ঠ ধর্ম মেনে সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে মুসলিম ছেলেকে বিবাহ করায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হামলা, অত্যাচার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালাবদ্ধ করে দেয়াসহ এলাকা থেকে বিতাড়িত করার প্রতিবাদে এবং ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে সংবাদ-সম্মেলন করেছেন অনামিকা সাহা বর্তমান মুসলিম ধর্ম গ্রহণকরা তুবা আলমগীর নামে এক ভুক্তভোগী। মঙ্গলবার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে গোপলগঞ্জ শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের হলরুমে এ সংবাদ-সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ন্যায় বিচারের আশায় সাংবাদিক ভাইদের সামনে হাজির হয়েছি উল্লেখ করে সংবাদ-সম্মেলনে তুবা আলমগীর তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৫বছর পূর্বে আমার প্রয়াত স্বামী অসীম কুমার সাহা কিডনি ও ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তার রেখে যাওয়া দুটি নাবালিকা কন্যা সন্তান নিয়ে সেখান থেকে শুরু হয় আমার জীবন যুদ্ধ। সম্পত্তির লোভে আমার ভাশুর-দেবররা নানাবিধ অত্যাচারসহ আমার নামে কুৎসা রটনা ও ষড়যন্ত্র শুরু করে। এদিকে আমার বড় কন্যা লাবণ্য সাহা অপ্রাপ্ত বয়সে একটি বখাটে ছেলের প্রেমে পড়ে সন্তান-সম্ভবা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় আমি তাকে শাসন করতে গেলে মেয়ের প্রেমিক গৌরব সাহা ও তার লোকজন আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করতে থাকে। একপর্যাায়ে ২০২৩ সালে আমার দেবর-ভাশুরসহ মেয়ে ও তার প্রেমিকের কারসাজিতে আমার দোকান থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি হয়ে যায়; যা টুঙ্গিপাড়া থানায় ডায়েরি করা রয়েছে। আমি প্রায় নিঃস্ব অবস্থায় মহাজনের নিকট হইতে স্বর্ণ বাকি নিয়ে আবারও কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি। কিন্ত ২০২৪ সালে আমার মেয়ে লাবণ্য রাতের অন্ধকারে দোকানে রাখা প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণালংকারসহ নগদ ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় এবং ওই গৌরব সাহার সঙ্গে পালিয়ে যায়। এতে আমি আমার স্বামীর রেখে যাওয়া অর্থ-সম্পদ হারিয়ে ফেলি। তিনি আরও বলেন, পূর্ব হতেই ইসলাম ধর্মের প্রতি আমার টান ছিল। ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে আমি স্নাতক লাভ করেছি। বিগত গত ৪ মে তারিখে এক এফিডেফিটের মাধ্যমে আমি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করি এবং এক মুসলিম আলমগীর বিশ্বাসকে বিবাহ করি; যা আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। আমাকে রাতের অন্ধকারে এক কাপড়ে আমার ভাশুর বিনয় সাহা, সব্জিত সাহা ও গৌতম সাহাসহ বাজার কমিটির সভাপতির প্রত্যক্ষ নির্দেশে আমার বড় মেয়ে ও তার স্বামীকে দিয়ে ঘরবাড়ি ছাড়া করে। আমি আমার নাবালিকা ছোট মেয়েকে নিয়ে বর্তমান স্বামীর কাছে গিয়ে ঠাঁই নিলে তারা সবাই মিলে সম্পা জুয়েলার্স নামে আমার দোকানঘরে তালার উপর দিয়ে তালাবদ্ধ করে এবং বসতঘরের তালা ভেঙ্গে আমার অবাধ্য মেয়ে-জামাইকে ঘরে তুলে দেয়। এরপর পাটগাতি বাজারে গেলে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। প্রাণ ভয়ে আমি বাজারে যেতে পারছি না। এদিকে আমার দোকানে যারা গহনার অর্ডার দিয়েছিল তাদের সব গহনা দোকানের সিন্দুকে রাখা বিধায় দিতেও পারছি না। ফলে কাস্টমাররাও নানাধরণের হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করছে। এখন আমার বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। আমার পরনের কাপড়-চোপড়ও আনতে দিচ্ছেনা। মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করাটা কি আমার অন্যায় হয়েছে? আমার কি ধর্মান্তরের স্বাধীনতা নাই? আমার কি বেঁ চে থাকার কোনো অধিকার নাই? – এমন প্রশ্ন করে সংবাদ-সম্মেলনে তিনি প্রশাসনের কাছে বিচার চান এবং একইসঙ্গে তিনি তার সবকিছু ফেরত চান। SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: