গাংনী উপজেলায়  কবরস্থানের প্রবেশপথে ট্রাক্টরের ধাক্কা; সংঘর্ষে নিহত -১,আহত ৮, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ ।

প্রকাশিত: ৯:৪৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫

 

সাব্বির আহমেদ,

মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামনগর ও চরগোয়ালগ্রামের মধ্যে সংঘর্ষে হৃদয় হোসেন (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৮ জন। এ সময় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মটর পার্টসের একটি দোকান ও পাঁচটি মোটরসাইকেল।

আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১ টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নিহত হৃদয় হোসেন একই উপজেলার চরগোয়াল গ্রামের সাহাদত আলীর ছেলে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রামনগর গ্রামের মিরা ইসলাম নামের একজন একটি নতুন ট্রাক্টর কিনেছেন। তার ছেলে সামিউল ট্রাক্টর নিয়ে চরগোয়াল গ্রামে গেলে অসাবধানতার কারনে চরগোয়াল গ্রামের ইদগাহ ও কবরস্থানের গেটে ধাক্কা লেগে গেট ভেঙে যায় । ঈদগাহের গেট ভেঙে যাওয়ায় ওই গ্রামের লোকজন ট্রাক্টরের চাবি নিয়ে নেয়। এসময় উভয় পক্ষের লোকজন রামনগর গ্রামের জান্নাত মোটররসাইকেল ওয়ার্কসপে বসে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পযার্য়ে সংঘর্ষে রুপ নেয় । এতে হৃদয় হোসেনের মাথায় লাঠির আঘাত লাগলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এবং তাকে উদ্ধার করে বামন্দীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, হৃদয় হোসেনের মৃত্যুর খবর চরগোয়াল গ্রামে পৌছালে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী রামনগরের গিয়ে জান্নাতের মোটরসাইকেল ওয়ার্কসপে ভাংচুর, লটুপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন। এতে কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ পুরো দোকান পুড়ে ভষ্মিভুত হয়।

খবর পেয়ে মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, গাংনী থানার ওসি বানি ইসরাইলের নেতৃত্বে পুলিশ, যৌথবাহিনীর একাধিক দল ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম বলেন, আমি ঘটনস্থল পরিদর্শন করেছি পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে তদন্তের কাজ করছে এবং হত্যাকরীদের সনাক্ত করা হয়েছে তাদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে । তিনি আরও জানান, আসলে ঈদগাহের গেট ভাঙ্গা নিয়ে এই সংঘর্ষ নাকি আভ্যন্তরীণ কোন সমস্যা রয়েছে সেটি তদন্ত কাজ শেষে বলা যাবে।