গফরগাঁওয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননার দায়ে তোলপাড়

প্রকাশিত: ১:২১ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম উপজেলা শাখার সহ সভাপতি, বির্তকিত শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তারর বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার দায়ে শাস্তির দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

গত মঙ্গলবার আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের এই নেতাকে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অঙ্কিত স্টেজের উপর দাঁড়িয় বক্তব্য রাখছেন। পরে এই অনুষ্ঠানের ভিডিও আপলোড করে অনুষ্ঠানের থাকা বক্তরা  ফেসবুক পেইজে ছড়িয়ে দেয়। পরে বিযয়টি প্রশাসনের নজরে পড়ে।  এ ঘটনায় আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম নেতার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার দায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে শাস্তির দাবিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশিষ্ট জনেরা। এই ধৃষ্টতার জন্য বিতর্কিত এই শিক্ষিকার শাস্তি ও গ্রেপ্তারর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গফরগাঁও উপজলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম আহবায়ক আজিজুর রহমান রহমান রতন  বলেন, উপস্থাপক তার পায়ের নীচে জাতীয় পতাকা রেখে  মহান বিজয় দিবস/২৪ উপলক্ষে তাদের প্রতিষ্ঠিত সংগঠন আপন সংগীত একাডেমি আয়াজিত অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেছে। এই বিষয়টি আমাদের অনুভুতিতে আঘাত করেছে। আইন প্রয়াগকারী সংস্থা এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক পদক্ষেপ নিবেন। গফরগাঁওয়ে সাংস্কৃতিক কর্মী আজিজুর রহমান জুয়েল,  এ ঘটনায় তীব্র নিদা ও শাস্তির দাবি করে বলেন, এটা অত্যান্ত গর্হিত অপরাধ। জাতীয় পতাকার অবমাননা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। উপজলা শিকদার সঙ্গীত একাডেমির পরিচালক আলমগীর হাসন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলন, এই অপরাধ ক্ষমার অযাগ্য, জাতীয় পতাকা আমাদর স্বাধীনতা ও সার্বভমত্বের প্রতীক,এটা রাস্ট্রদ্রোহ অপরাধ করেছে। গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক ফারামের সহ সভাপতি ফাতেমা আক্তার উপজেলা বনগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তিনি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ায় এবার বিজয় দিবসের সরকারী অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে না পারাই রাগে ক্ষোভে একটি অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অন্কিত করে পায়ে মাড়িয়ে নাচ গান করে দেখিয়ে দিল সুপার। আপন সংগীত একাডমির পরিচালক মানিক মাহমুদ ও তার স্ত্রী সহকারী পরিচালক ফাতেমা আক্তারর সংগীত বক্তরা জানান, ফাতেমা ম্যাডাম একাধারে স্কুলের শিক্ষিকা অপর দিকে সংগীত একাডমির সহকারী পরিচালক তিনি কোন দিনই ড্রেস কোড মেনে চলেননি। তাতে আমরা লজ্জিত হই।

 উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নূর-এ-আলম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। এটা জাতীয় পতাকা অবমাননার সামিল।

এ বিযয় গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া ইয়াছমিন বলেন, বিজয়ের পতাকা অন্কিত করে পায় মাড়িয়ে স্টেজে দাড়িয়ে বক্তব্য দেওয়া পতাকা অবমাননার শামিল  বিযয়টি তদস্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।