কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সেনা-পুলিশের চেকপোস্ট অভিযান: হেলমেট ও কাগজপত্র না থাকায় জরিমানা !

প্রকাশিত: ৮:০৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১, ২০২৫

 

সোহানুর রহমান সোহান নিজেস্ব প্রতিবেদক:-

শৃঙ্খলিত সড়ক ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ জনপদ ও আইন মেনে চলার বার্তা দিতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। সোমবার (১ জুলাই ) বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত পৌর শহরের ভৈরব বাসস্ট্যান্ড ও পৌর পার্ক সহ এলাকা গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। অভিযানে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩৫ জনের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৮৮ হাজার ৫ শ টাকা জরিমানা করেন ।
ভৈরব সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা ভৈরব পৌর শহরের ব্যস্ততম পয়েন্ট বাসস্ট্যান্ড, ও থানা মোড়ে বসান চেকপোস্ট। হাই পুলিশের সহযোগিতায় যানবাহন থামিয়ে চালকের ড্রাই। লাইসেন্স, যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, ইনস্যুরেন্স ও ট্যাক্স টোকেন যাচাই করা হয়। যারা নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা।
চেকপোস্ট পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের এস. আই রোকনুজ্জামান জামান । তিনি বলেন, নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা শুধু দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের মানবিক অঙ্গীকার। সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ দমনেও আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। ২৪ ঘণ্টা নজরদারির পাশাপাশি সন্দেহজনক ব্যক্তি বা কার্যকলাপ দেখলেই নেওয়া হচ্ছে কঠোর ব্যবস্থা।এই যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনীর সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
ভৈরব মাইক্রোবাস মালিক সমিতি’র সভাপতি মোঃ সিয়াম মিয়া, বলেন, চেকপোস্ট কার্যক্রম চালু হওয়ার পর শহরের চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে। চুরি-ছিনতাই কমেছে, পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরেছে। স্থানীয় পথচারী রমজান মিয়া জানান, সেনাবাহিনীর উপস্থিতি মানুষকে যেমন নিরাপত্তা দিয়েছে, তেমনি শহরে ফিরেছে এক ধরণের শৃঙ্খলা ও তাদের এই ধরনের জনসচেতনতা মূলক অভিযান চলতে থাকলে জনমনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে বলে জানান তিনি। এছাড়া তিনি এ ধরনের চেকপোস্ট প্রতি নিয়মিত পরিচালনার সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
চেকপোস্ট অভিযান শুধু একটি আইনগত প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি নাগরিক সচেতনতা ও নিরাপত্তার এক বাস্তব রূপ। এ ধরণের উদ্যোগ শহরের প্রতিটি মানুষকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেয় এবং অপরাধ প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।