স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহ অঞ্চলে সাইন বোর্ডহীন দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (DSK) গ্রাহক ও চাকুরীরত নারী কর্মচারীদের সাথে অনৈতিক স্খলন আচারন ও নানা ভাবে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম মন্ডলের বিরুদ্ধে। তিনি কর্মচারীদের বলে থাকেন কথা না রাখলে, আমার যেখানে পোস্টিং হয়, নারী র্কমচারীর চাকুরি যাবেই। ময়মনসিংহ মাসকান্দা বাইপাস শাখায় শুধু সৎ থাকতে গিয়ে ২ জন চাকুরি হারিয়েছেন। এখন মোহাম্মদপুরের তাসলিমা তার সাথে বেশ মানিয়ে নিয়েছেন!
সুত্র জানায়, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র হলেও এটি দিয়ে চড়া সুদে ঋণ দানের সমিতি চালানো হয়। দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অনুমোদন থাকলেও কি করে সেখানে ঋণ দানের কার্যক্রম চলে? এছাড়াও শাখা ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম মন্ডলের অফিসে চলে গভীর রাত পর্যন্ত কাজকর্ম। মহিলাদের ঋণ নিয়েও তিনি উৎকোচ বানিজ্য করেন বলে জানা গেছে। ঋণ গ্রহিতার চেহারা একটু ভালো হলেই ঘন ঘন অফিসে ডেকে এনে আড্ডা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে, এছাড়া সদস্য বই গায়েব করার অভিযোগ রয়েছে অনেক। অফিসের নারী কর্মচারীদের সাথেও তিনি আপত্তিকর আচারন করেন। নারী কর্মচারীদের ভাগে আনতেই তিনি কিস্তির সদস্য বই গায়েব করেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি এক নারী কর্মচারীর সাথে ফোনালাপে আশালীন আচারন ও অনৈতিক আলাপচারিতা করেছেন।
শাখা ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। মাহবুবুল আলমের অব্যক্ত প্রত্যক্ষ ইঙ্গিত পুরন না করে লুৎফুর নাহার হিমু চাকুরি ছেড়ে দিয়েছেন। এর পরে তিনি কয়েকজন গ্রহকের ঋণ বহি গায়েব করে তার কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন। এবার তার চোখ পড়েছে আরেক নারী কর্মীর উপর। এখানেও তিনি ঋণ বহি গায়েব করে সদস্যদের কাছ থেকে লিখিত নিচ্ছেন। কেননা চাকুরীর শুরুতে এমাউন্ড ছাড়াই স্বাক্ষরিত চেক নেন সংস্থ্যা। এ ভাবেই ফাঁদে ফেলেন মেয়েদের। বাধ্য হয়েই তারা কোনঠাসা হয়। নইলে দিতে হয় মোটা অংকের টাকা! চাকুরি বিধিমালায় চেক গ্রহনই বা কতটা যুক্তি সংগত?
তাসলিমা এখন মাহবুবের সাথে সখ্যতা বাড়িয়ে গভীর রাত র্পযন্ত তারা অফিস করে। আর বকেয়া সৃষ্টি করে অর্থ ধান্দা করছে। সংস্থাটির কার্যক্রমের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও তদন্তের দাবী করেছেন সচেতন মহল।